AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েডের ব্যবহার বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ।


Ekushey Sangbad

১০:৪৫ এএম, আগস্ট ৩০, ২০১৬
কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েডের ব্যবহার বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ।

একুশে সংবাদ: আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পাবনার বেড়া উপজেলার খামারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বেশি লাভের আশায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহারের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত কিংবা কম ওজনের গরু, ছাগল, মহিষ অতি অল্প সময়ে স্বাস্থ্যবান করে তোলার পথ বেছে নিয়েছেন তারা। এতে আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বেড়াবাসী। বেড়ার গরুর ব্যাপারী তজিমউদ্দিন মণ্ডল জানান, প্রায় এক দশক ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া বেড়েছে। উপজেলার ১ হাজার খামারি ছাড়াও আরো প্রায় ৫ হাজার ক্ষুদ্র কৃষক নিজ উদ্যোগে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। তারা পবিত্র ঈদুল আযহা সামনে রেখে গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাছাড়া এ বছর উপজেলার প্রায় ১ হাজার হতদরিদ্র নারী বিভিন্ন এনজিও’র টাকায় গরু-ছাগল কিনে পালন করেছেন। তারাও লাভের আশায় গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণের কাজটি করে চলেছেন। আহাম্মদপুর গ্রামের চাষি উজ্জ্বল হোসেন জানান, সাধারণত কোরবানির ২০/২৫ দিন আগে তারা গরু মোটাতাজা করার জন্য ওষুধ খাওয়ান। তারা জানান, গত এক দশকে শুধু কোরবানির গরু লালন পালন করে তারা নিজেদের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন। সংসারের অভাব ঘুচাতে অনেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে খামার গড়ে তুলেছেন। যে কারণে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তাদেরকে মোটাতাজাকরণের মত অনৈতিক কাজ করতে হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পশু চিকিৎসক জানান, অধিকাংশ চাষি ক্ষতিকর ওষুধ খাইয়ে গরু-ছাগল-মহিষ মোটাতাজা করেন। তারা সাধারণত ‘পাম’ বড়ি এবং স্টেরয়েড, প্রি-ডেক্সানল, ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন, পেরিঅ্যাকটিন, প্যারাডেক্সা ও রোডেক্সান ট্যাবলেট খাওয়াচ্ছেন গবাদিপশুকে। আর বেশি মাত্রায় ওষুধ খাওয়ানোর পর যখন গরু অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাদের ডাক পড়ে। এক শ্রেণীর হাতুড়ে চিকিৎসক এসব ক্ষতিকর ওষুধ কেনার প্রেসক্রিপশন দিয়ে থাকেন বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হারুণ অর রশিদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা গরুর বিভিন্ন বাজার ও খামার গুলোয় মনিটরিং শুরু করেছি। মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার কোনো পশুর সন্ধান পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।       একুশে সংবাদ ডটকম     //  এম   //   ৩০.০৮.১৬
Link copied!