আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা এইচপি (হাই-পারফরম্যান্স) দল। সেই সিরিজের আগে বাংলাদেশ এইচপি দলের জন্য সব বিভাগেই কোচিং স্টাফ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
ইতোমধ্যে প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন ডেভিড হেম্প। নিশ্চিত হয়েছে পেস বোলিং কোচ কলি কলিমোরের নামও। চূড়ান্ত হয়েছে ব্যাটিং কোচের নামও। নতুন করে রাজিন সালেহকে ব্যাটিংয়ের দায়িত্ব দিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। এছাড়া স্পিন বোলিং কোচ হয়েছেন পাকিস্তানের আরশাদ খান।
সোমবার বিসিবিতে এইচপির পুরো কোচিং স্টাফরা আলোচনায় বসেছিলেন। উপস্থিত ছিলেন সকল সদস্যই। পরে এইচপির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম জানান, আসন্ন সিরিজের জন্য দ্রুতই ঘোষণা করা হবে স্কোয়াড।
দক্ষিণ আফ্রিকা এইচপি দলের সঙ্গে সিরিজের আগে আগামী ৪ মে থেকে শুরু হবে অনুশীলন। সেই সিরিজের দলে থাকা ক্রিকেটাররাই কেবল থাকবেন অনুশীলনে। এই সিরিজের জন্য ১৫ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে দল ঘোষণা করা হবে।
গেল বছরের এইচপি দল থেকেও এবারের দলে থাকবেন বেশ কিছু ক্রিকেটার। নতুন করে গুঞ্জন রয়েছে তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে। কেননা এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার গেল বছর ঘরোয়াতে পারফর্ম করেছেন, চলমান ডিপিএলেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। যে কারণে আসন্ন এইচপির স্কোয়াডে তার থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।এইচপি দলে থাকবেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি, রাকিবুল হাসানরাও। এ ছাড়া চলমান ডিপিএলে ব্যাট হাতে দারুণ সময় পার করা মাহফিজুল ইসলাম রবিনও থাকতে পারেন এই দলে। ব্রাদার্সের হয়ে তিনি করেছেন ৫১২ রান।
দলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে অফ স্পিনার পারভেজ জীবনেরও। কেননা খুলনার এই ক্রিকেটার চলমান ডিপিএলে শিকার করেছেন ১৯ উইকেট। বল হাতে প্রতি ম্যাচেই বেশ ইকোনোমিকাল। লেগ স্পিনার ওয়াসি সিদ্দিকীও থাকতে পারেন দলে। ডিপিএলে নিজের বোলিং দিয়ে নজর কেড়েছেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আসন্ন এই সিরিজ শেষ হলে কিছুদিন বিশ্রামে থাকবেন এইচপির ক্রিকেটাররা। এরপর পবিত্র ঈদুল আযহা শেষে ১০ জুন থেকে শুরু হবে এইচপির মূল ক্যাম্প। পুরো বছর জুড়েই এইচপির কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মাহবুবুল আনাম। ক্যাম্পের ২৫ জনের মতো ক্রিকেটার জায়গা পেতে পারেন।
একুশে সংবাদ//এস.কে//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

