হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিম বাস আসার সঙ্গেই জামাল-তপু-তারিক কাজীদের ঘিরে ধরেন সমর্থকরা। অনেকে প্রিয় ফুটবলারদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। তবে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেয়ার আগে ফুটবলারদের মনে অজানা ভয়।
সৌদিতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে ৩০ সদস্যের স্কোয়াড নেমে আসবে ২৩ এ। তায়েফে যাদের পারফরম্যান্স ভালো হবে তারাই থাকবেন চূড়ান্ত দলে। আল-আমিন-নোভাদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেন্জ। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে নিজেদের সেরাটা দিয়ে দলে জায়গা কোরে নিতে চান তারা।
গেল কয়েক বছর সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করে আসছে লাল-সবুজ দল। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ভারত ম্যাচের আগে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে সৌদিতে ১১ দিন ক্যাম্প করবে কাবরেরা বাহিনী। সঙ্গে খেলবে প্রস্তুতি ম্যাচও। সেখানেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন ফাহমেদুল। আর হামজা যোগ দেবেন ঢাকায়। এই দুই ফুটবলার নিয়ে বেশ ইতিবাচক কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। যেকোনো কন্ডিশনেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন তারা।
গণমাধ্যমকে কাবরেরা বলেন, ‘সৌদি আরবে কন্ডিশনিং ক্যাম্পের সুযোগ সুবিধা সবকিছুই উন্নতমানের। বিগত দিনেও আমরা সেখানে ক্যাম্প করেছি। যা ফুটবলারদের পারফরম্যান্স উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, যেখানে ছেলেরা নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেবে। হামজা, ফাহমেদুল দলের সঙ্গে পরে যোগ দিলেও তারা মানিয়ে নিতে পারবে। কারণ তারা ভালো পর্যায়ে ফুটবল খেলে। আবহাওয়াও তাদের জন্য কোনো সমস্যা হবে না। আশা করি সৌদি আরবে দলের ভালো প্রস্তুতিটাই হবে৷’
দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে চলছে প্রতিযোগিতা। সৌদি আরবের ক্যাম্প নিয়েই ইতিবাচক অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সুদানের বিপক্ষেই নিজেকে প্রমাণ করতে চান জেবিসিক্স। তবে প্রস্তুতি ম্যাচের বাকি দুই প্রতিপক্ষ এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি বাফুফে। ভিসা জটিলতায় এদিন দলের বিমান ধরতে পারেননি ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
একুশে সংবাদ/ এস কে