বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের লক্ষ্য নিয়ে আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলংকা। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের স্বাদ পেয়েছে দু’দল। তাই এ ম্যাচে হারের বৃত্ত ভেঙ্গে জয়ের স্বাদ নিতে চায় অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা।লখনৌতে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হবে।
ভারতের কাছে হার দিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। চেন্নাইয়ের ঐ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৯ রানে অলআউট হয় অজিরা। ২০০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে শুরুতেই ভারতকে চাপে ফেলে দেয় অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা।
২ রানে ৩ উইকেট হারালেও বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। কোহলি ৮৫ ও রাহুল অপরাজিত ৯৭ রান করেন।
পরের ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ব্যর্থতায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যবধানে লজ্জার হারের স্বাদ নেয় অজিরা।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কোন ম্যাচেই ২শ রান করতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। এজন্য ব্যাটারদের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় আছেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচেই খুব বাজে ব্যাটিং করেছে দল। বোলিং-ফিল্ডিং খুব বেশি খারাপ হয়নি। জয়ের ধারায় ফিরতে হলে ব্যাটিংয়ে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে আমাদের। শ্রীলংকার বিপক্ষে আমরা জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবো।’
তবে অস্ট্রেলিয়ার মত ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা নেই শ্রীলংকার। লংকানদের পাহাড় সমান চিন্তা বোলিং নিয়ে। প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে ৩শর বেশি রান করেছে লংকানরা। কিন্তু দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাই বোলিং পারফরমেন্স করেছে শ্রীলংকা।
লংকানদের বোলারদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪২৮ ও পরের ম্যাচে পাকিস্তান ৩৪৫ রান করে। দুই ম্যাচে ৯৮ দশমিক ২ ওভারে ৭ দশমিক ৮৬ ইকোনমিতে সর্বমোট ৭৭৩ রান দেয় শ্রীলংকার বোলাররা। এজন্য প্রথম দুই ম্যাচে হারের দায়টা শ্রীলংকার বোলারদের উপর দিয়েছেন দলের কোচ ক্রিস সিলভারউড।
তারপরও বোলারদের উপর পূর্ণ আস্থা আছে সিলভারউডের, ‘প্রথম ম্যাচে বোলারদের পারফরমেন্স খুবই খারাপ ছিল। তবে এই বোলাররাই শ্রীলংকাকে ম্যাচ জেতানোর সামর্থ্য রাখে। আশা করবো, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেই জ্বলে উঠবে তারা এবং বোলারদের হাত ধরেই এবারের আসরে প্রথম জয় পাবে শ্রীলংকা।’
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ১০২বার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা-অস্ট্রেলিয়া। এরমধ্যে জয়ের পাল্লা ভারী অস্ট্রেলিয়ার। ৬৩টি জয় পেয়েছে অজিরা। ৩৫টি জয় আছে শ্রীলংকার। ৪টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বিশ্বকাপের মঞ্চেও জয়ের দিক দিয়ে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ার। ১১বারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে আটবার, শ্রীলংকার জয় মাত্র ২টিতে ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। ১৯৯৬ সালের পর বিশ্বকাপে সাতবারের লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে একবারও হারাতে পারেনি শ্রীলংকা। ২০১৯ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপেও ৮৭ রানে জিতেছিলো অজিরা।
শ্রীলংকা দল: কুশল মেন্ডিস (অধিনায়ক), চামিকা করুনারত্নে, কুশল পেরেরা, পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, দুশান হেমন্ত, মহেশ থিকশানা, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, কাসুন রাজিথা, মাতিশা পাথিরানা, লাহিরু কুমারা ও দিলশান মাদুশঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়া দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, মার্নাস লাবুশেন, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজলউড, ট্রেভিস হেড, জশ ইংলিস, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস, ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যাডাম জাম্পা।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :