দেখতে দেখতে বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমসের পর্দা নামলো আজ। করোনা মহামারীর কারণে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ১০দিনের এই ক্রীড়া উৎসবের। তবে সমাপনী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় দর্শক বিহীন স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন-বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা।
এরপর গেমসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহম্মেদ, সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এবং গেমসের সাংগঠনিক চেয়ারম্যান ও অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল।
পরে একটি ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দশ দিনের গেমসের চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর সংক্ষিপ্ত লেজার শো শেষে মশাল নেভানোর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্তি ঘটে গেমসের।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন-বিওএ’র সর্বশেষ পদক তালিকা অনুযায়ী ১৩২টি স্বর্ণ, ৮০টি রুপা ও ৫৭টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৬৯টি পদক নিয়ে বাংলাদেশ গেমসে টানা পঞ্চমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দল। ১১৫টি স্বর্ণ, ৯৯টি রৌপ্য ও ৮৩টি ব্রোঞ্জসহ মোট ২৯৭টি পদক নিয়ে রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ৬৩টি স্বর্ণ, ৩৯টি রৌপ্য ও ২৫টি ব্রোঞ্জসহ ১২৭টি পদক নিযে তৃতীয় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এবারের আসরে ৩১টি ডিসিপ্লিনে ১ হাজার ২৭১টি পদকের জন্য ৫ হাজার ৩০০জন ক্রীড়া বিদ অংশগ্রহন করেন। যেখানে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয় ৬৪টি।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে গত বছর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস হতে পারেনি। এবার সব ধরনের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস সূচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুরুতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গীপাড়া থেকে মশাল যাত্রা শুরু হয়েছিল। দেশের তারকা ক্রীড়াবিদ-সংগঠকদের হাত ধরে তা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন।
একুশে সংবাদ/জি/আ
আপনার মতামত লিখুন :