গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে কুয়াশা ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দান জড়ো হয়েছেন। ফজরের পর বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রথম পর্বের তৃতীয় দিন। শেষ হয় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় শুরু হয় আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইলের সুরাসদস্য কারি মোহাম্মদ জোবায়ের।
আখেরি মোনাজাতে আমিন আমিন ধ্বনিতে কম্পিত হয় পুরো ইজতেমার ময়দান ও আশপাশ। টঙ্গীর তুরাগ তীরে সমবেত হয়ে অশ্রুভেজা চোখে মুসল্লিরা দেশ জাতি এবং মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে অবস্থান নিয়ে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্নার বুক ভাসান মুসল্লিরা।
গোটা দুনিয়ায় পথভ্রষ্ট মুসলমানের সঠিক পথে চলা এবং তাবলীগের কাজে সবাইকে নিয়োজিত হওয়ার তাওফিক কামনা করে মহান আল্লাহর রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত প্রার্থনা করা হয়। ইহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যাণ কামনায় দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি স্রষ্টার দরবারে কান্নাকাটি করেন। লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আমিন-আমিন।
গত কয়েকদিন ধরে টঙ্গীর তুরাগ তীরে কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেন তাবলিগ জামাত অনুসারী মুসল্লিরা। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার ভোর থেকে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে হাজার হাজার মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমা স্থলে আসেন। ময়দানে জায়গা না পেয়ে তারা আশপাশের অলি-গলি, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ফুট ওভার ব্রিজ, বাসা বাড়ি, কল-কারখানা, মার্কেট ও যানবাহনের ছাদে এবং তুরাগ নদে নৌকায় অবস্থান নিয়ে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন।
আখেরি মোনাজাতের জন্য আশে-পাশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, কল-কারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব ইজতেমা। তাবলিগ জামাত আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হন। এখানে তাবলিগ জামাতের দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা আখলাক, ঈমান ও আমলের ওপর বয়ান করেন।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :