AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যে পাপ লেখা হয় না আমলনামায়


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:০৮ পিএম, ৩ অক্টোবর, ২০২০
যে পাপ লেখা হয় না আমলনামায়

মুসলিম বান্দার পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে ফেরেশতারা তা আমলনামায় লেখেন না, বরং নির্ধারিত সময় অপেক্ষা করেন।আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচেয়ে প্রিয়, যে গোনাহ করার পর দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চায়।হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাপকারী ব্যক্তি ক্ষমা চায় তবে তা মুছে দেয়া হয়।

মুসলিম ব্যক্তির জন্য পাপ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসতেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দাকে ক্ষমা করে দেন মর্মে কুরআনে ঘোষণা দেন-

‘আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের প্রতি জুলুম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)

যারা অন্তর থেকে মহান আল্লাহকে ভয় করে, তারা যদি কোনো কারণে অন্যায় বা পাপের কাজ করে, তবে তারা সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চেয়ে নেয়। ক্ষমা প্রার্থনায় তারা দেরি করেন না। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা এ বিষয়টিও তুলে ধরেছেন-

‘আর যারা কোনো অশ্লীল কাজ করলে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে; অতপর তাদের গোনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া কে গোনাহ ক্ষমা করবে? আর তারা যে (অপরাধ) করেছে, জেনেশুনে তার ওপর অটল থাকে না।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৫)

পাপ না লেখার কারণ-

মুমিন ব্যক্তি পাপ করার পর অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। এ জন্য ফেরেশতারা পাপ কাজ সংঘটিত হওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেউ যদি তার কৃত পাপের জন্য লজ্জিত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তবে ফেরেশতারা ওই পাপ তার আমলনামায় লেখেন না, বরং ছেড়ে দেন। হাদিসে এসেছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-

‘কোনো মুসলিম বান্দা গোনাহ করর পর ডান কাঁধের ফেরেশতা ছয় ঘণ্টা গোনাহ লেখা থেকে কলম উঠিয়ে রাখেন (অর্থাৎ গোনাহ লেখেন না)। যদি সে অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে ফেরেশতা গোনাহ না লিখে ছুড়ে ফেলে দেন, অন্যথায় একটি গোনাহ লেখা হয়।’ (সহিহ আল জামে)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ক্ষমা প্রার্থনা করা। কেননা পাপ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা চাওয়া মুমিন ব্যক্তির অন্যতম গুণ। আর পাপ করার পর নির্ধারিত সময়ে ক্ষমা প্রার্থনায় সে পাপ আমলনামায়ও লেখা হয় না বরং মুছে ফেলা হয়।

গোনাহমুক্ত জীবন লাভে সব সময় ছোট ছোট বাক্যের এ ইসতেগফারের মাধ্যমে ক্ষমা চাওয়া যায়। বিশ্বনবি একই মজলিশে এটি ১০০ বার পড়তেন। তাহলো-

رَبِّ اغْفِرْلِىْ وَتُبْ عَلَىَّ انَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ

উচ্চারণ : ‘রাব্বিগফিরলি ওয়াতুব আলাইয়্যা ইন্নাকা আংতাত তাওয়্যাবুর রাহিম।’

অর্থ : ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা কর। আমার তাওবা কবুল কর। নিশ্চয় তুমি অতিশয় তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে গোনাহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

একুশে সংবাদ/তাশা

Link copied!