প্রবাসী বাংলাদেশী মো. শরিফ উদ্দিন (৩৩) পাসপোর্ট নাম্বার EB0517780, গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) জ্বর এবং পেটের ব্যাথা নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হলে তার অবস্থার আশংকাজনক দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত মালদ্বীপের (আর-মিধু) আইল্যান্ড থেকে (আর-উনগুফারু) আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আর-উনগুফারু আইল্যান্ডের হাসপাতালে পুনরায় ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে মো. শরিফ উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
শরিফ উদ্দিনের দেশের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ার নাসিরপুর গ্রামে। সে ফকির বাড়ির মরহুম আলী একাব্বরের কনিষ্ঠ পুত্র। তার বাড়িতে মা এবং স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
শরিফের মামতো ভাই আবুল হাসনাত হীরক ও বন্ধু মো. মাসুদুল হক বলেন, শরিফ উদ্দিনের পরিবার খুবই হত দরিদ্র। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার কোনো সামর্থ্য নেই পরিবারের। মৃতের মা তার সন্তানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সমাজের বিত্তশালী ও মালদ্বীপ প্রবাসী সহ বাংলাদেশ হাইকমিশনার এর সহযোগিতা কামনা করছেন।
এই বিষয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ জানান, মৃত মো. শরিফ উদ্দিনের পরিবারের সাথে কথা হয়েছে, তার মরদেহ আগামীকাল দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) মালদ্বীপ পুলিশের মুখপাত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, একজন অভিবাসী শ্রমিকের উঙ্গুফারু আঞ্চলিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমানে তার মরদেহ মালে সিটিতে এনে মর্গে রাখা হয়েছে। কিন্তু মৃতের পক্ষে দাবি করার নিকটতম এখন পর্যন্ত কাউকে পাননি এবং গত তিনদিন যাবত অভিবাসীর মরদেহ মর্গে পড়ে আছে। অভিবাসীর মৃতদেহর করণীয় নিয়ে বর্তমানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একুশে সংবাদ.কম/ও.ফা.অ.প্রতি/বি.এস
আপনার মতামত লিখুন :