AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
ইশরাক হোসেনের অভিযোগ

নগর ভবনে হামলার পেছনে উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠদের হাত রয়েছে


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৫৫ পিএম, ২৫ জুন, ২০২৫

নগর ভবনে হামলার পেছনে উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠদের হাত রয়েছে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে শ্রমিকদল নেতাদের ওপর হামলার জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার ঘনিষ্ঠদের দায়ী করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

বুধবার (২৫ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ইশরাক বলেন, “গতকাল (২৪ জুন) নগর ভবনে যে হামলা হয়েছে, তা একটি পরিকল্পিত ঘটনা। এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ডিএসসিসির কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। যদিও তারা কেউ কেউ নিজেদের বিএনপি-ঘরানার পরিচয় দেন, কিন্তু দলের কোনো সাংগঠনিক পদে তারা নেই। তাছাড়া, তারা অতীতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ঘনিষ্ঠ হিসেবে দুর্নীতি ও আত্মসাতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”

তিনি আরও বলেন, “এই হামলার প্রধান ব্যক্তি গোলাম কিবরিয়া রুবেল, যিনি আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নেতৃত্ব দেন, তার বিরুদ্ধেও বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।”

এসময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে উদ্দেশ করে ইশরাক বলেন, “আপনার কথাবার্তার ভঙ্গি ও অবস্থান পরিস্থিতিকে আবার উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। আমি স্পষ্ট করে বলছি, আন্দোলনে যুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের চিন্তা করাও উচিত হবে না। যদি তা হয়, ঢাকাবাসী তা মেনে নেবে না। সেই পরিস্থিতিতে আবার আন্দোলন শুরু হলে তা নগর ভবনের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজপথে পৌঁছাবে।”

নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে ইশরাক হোসেন বলেন, “আমি ঢাকা নগরবাসীর একজন প্রতিনিধি, দক্ষিণ সিটির ভোটার এবং এই নগরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে রাজপথে নামতে অনুপ্রাণিত করেছে। তবে আমি আগেই বলেছি, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের ইচ্ছা আমার ছিল না। দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পরামর্শে শপথ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র আইনি প্রক্রিয়ার একটি আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তির অংশ হিসেবে।”

তিনি আরও বলেন, “তাপসকে অবৈধ ঘোষণা করে যে রায় এসেছে, সেটিকে স্থায়ী দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, আইনের শাসনের বিজয়ের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা—এটাই ছিল লক্ষ্য। কিন্তু এই প্রক্রিয়া থামাতে গিয়ে সরকারের নিরপেক্ষতার দাবিটি যে সত্য নয়, তা এখন পুরোপুরি প্রমাণিত।”

 

একুশে সংবাদ/জা.নি/এ.জে

Link copied!