বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)-এর বারবার নির্বাচিত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহুল আমিন গাজী-এর ইন্তেকালে গভীর শোক গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান।
আজ এক শোক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় মরহুম রহুল আমিন গাজী-এর শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। মরহুমের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা আসিনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
নেতৃদ্বয় মরহুম রহুল আমিন গাজী কে সাংবাদিকদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যম কর্মীদের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি আপোষহীন ছিলেন। তার সাহসী নেতৃত্বের কাছে ফ্যাসিস্ট সরকার বারংবার হার মেনেছে। যেকোনো জুলুম ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। সাংবাদিকদের রুটি রুজির আন্দোলনে বিগত ৫ দশকে তিনি সামনের সারিতে ছিলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন তার নেতৃত্বে একটি মজবুত সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
নেতৃদ্বয় বলেন, পতিত স্বৈরাচার সরকার তার ওপর জুলুমের স্টিম রোলার চালিয়েছে। তাকে বিনা অপরাধে প্রায় দেঢ় বছর কারাগারে বন্দি রেখেছে। এ সময় তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। শত জেল-জুলুম সত্ত্বেও রহুল আমিন গাজী দমে যাননি। তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে পুনরায় সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্রের পক্ষে তার সাহসী উচ্চারণ এদেশের মানুষ আজীবন স্মরণ করবে। সাংবাদিকদের এই অবিসংবদিত নেতার ইন্তেকালে আমরা গভীর শূন্যতা অনুভব করছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

