প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পূর্ব বাংলার টাকা দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান চলত। তারপরও শোষণ-বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে বাঙালিদের। আর এর প্রতিবাদ করেন একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফেরত আনার জন্য কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৭ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কালোটাকা নিয়ে অকারণে সমালোচনা হচ্ছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা ফেরত আনার জন্য কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। জনগনই আওয়ামী লীগের প্রধান শক্তি, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে৷ দেশের জনগনকে নিয়েই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিন দফা পাকিস্তানের রাজধানী পরিবর্তন হয়, কিন্তু টাকা যায় পূর্ব বাংলার। দীর্ঘদিন বঞ্চিত ছিল পূর্ব বাংলা। বঞ্চনা-বৈষম্যের প্রতিবাদ করলেন একমাত্র বঙ্গবন্ধুই। আমাদের এখানে নামিদামি অনেক নেতা ছিলেন, তারা বঞ্চনার প্রতিবাদ করেননি। তারা শুধু তেল মারায় ব্যস্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েছেন একমাত্র বাঙালির জন্য, এ দেশের মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারিনি কোথায় আছেন তিনি।
২০ দলীয় জোট নিয়ে খোঁচা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তখনো ২০ দল ছিল, এখনো আছে। বিশ আর যায় না।
আমাদের দেশে অনেক আঁতেল আছেন, তারা অনেক কিছু বেশি বোঝেন। যখন নির্বাচন এলো, তারা বলল ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ স্বাধীন কর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু বললেন, ভোটের বাক্সে লাথি মেরে স্বাধীন হবে না, ভোটের বাক্সে ভোট দিয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে কাজ করায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আমলেই প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন কিংবা অবকাঠামো উন্নয়ন আর কেউ করতে পারেনি, একমাত্র আওয়ামী লীগই করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। অপরাধ ছিল গ্যাস বিক্রিতে রাজি না হওয়া। বিএনপির আমলে সবশেষ বাজেটের আকার ছিল ৬২ হাজার কোটি টাকা। আর আমরা দিয়েছি ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট। মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের দিকে বেশি নজর দেয়া হয়েছে, যাতে মানুষের জীবনমান উন্নত হয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এখন খুব সীমিতভাবে, খুব সংরক্ষিতভাবে এগোতে চাই। যাতে দেশের মানুষের কষ্ট না হয়। মানুষের যে প্রয়োজন সেটা আমরা মেটাতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা বাজেট সেভাবে করেছি।
একুশে সংবাদ/স.টি/সা.আ