১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত ১৯৪৮ সাল থেকে বিশ^জুড়ে গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখটি নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন।
এই মানবাধিকার দিবসেই শাসক দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি ঢাকায় সমাবেশ করতে চায়। বিএনপি নেতারা বলছে, সরকারবিরোধী সব দল ঐক্যবদ্ধ, শিগগিরই শুরু হবে গণআন্দোলন।
১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে ঢাকায় সমাবেশের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগের। এদিন তারা বড় আকারের সমাবেশ করতে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশ করবে।
অপর দিকে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা বলছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের পক্ষেই সমর্থনের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ঢাকায় এটিই হবে শাসক দলের প্রথম সমাবেশ। শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে মহানগর দক্ষিণের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়টি ২৮ অক্টোবর থেকে বন্ধ। এক মাসের বেশি সময় ধরে তালা ঝুলছে কার্যালয়ে। জেলার অফিসগুলোর অবস্থাও একই রকমের। বিএনপির নেতা-কর্মী হিসাবেও অনেকে পরিচয় দিচ্ছে না।
তার সঙ্গে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। চাঙ্গা হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা দল ছেড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। ফলে বিএনপিতে এখন চরম হতাশা বিরাজ করছে।
ভাঙ্গন ঠেকাতে যেসব নেতা তৎপর হতে পারতেন বিভিন্ন মামলায় তারা এখন কারাগারে। এমন পরিস্থিতিতে দল ভাঙা-গড়ার টেনশন কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কতটুকু সফলতা পাবে বিএনপি, তা সময় বলে দেবে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে বিএনপি এখনো খোলাখোলিভাবে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ আগেই এ দিন সমাবেশ ডেকে দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :