তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০১৩ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অগ্নিসন্ত্রাস করা হয়েছে। আর বর্তমানে তারেক রহমানের নেতৃত্বে অগ্নিসন্ত্রাস চলছে। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে যারা মানুষ মারছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বিএনপি জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের ফলে আহত ও নিহতদের আর্তনাদ সারা দেশে শোনা যাচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও রাজনৈতিক কারণে হত্যা, অগ্নিসন্ত্রাসের নজির নেই। এখানে যখন সমাবেশ করছি তখন অনেক মানুষ বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আজও একজন ট্রাক ড্রাইভারের মৃত্যু হয়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি আমরা যদি পুনরায় ক্ষমতায় আসতে পারি তবে এই অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের আওতায় বিচারের আওতায় নিতে আসব।

হাছান মাহমুদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ৩৮ জন সাংবাদিককে আহত করেছে। এমনকি এর মাঝে ২০ জন তাদেরই বিটের সাংবাদিক ছিল। তারা নিজেদের লোকদেরও ছাড় দেয়নি। এ বছরে পাঁচ শতাধিক গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তারা কয়েকটা গাড়ি পুড়িয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করতে চায় কিন্তু তারা জানে না মানুষ এসবে ভয় পায় না। এই সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িতদের অর্থদাতা, হুকুমদাতা, মদদদাতাদের বিচার না করা হলে এই অগ্নিসন্ত্রাস নির্মূল হবে না। এরা জাতির কলঙ্ক।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, অন্য একদল লোক চিঠি এবং বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। আমি বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয় না, হবেও না। কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, কুকুরের লেজ যেমন সোজা হয় না তেমন বিএনপি জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। সবার কাছে অনুরোধ, এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেস, ঢাবির সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এবং ভুক্তভোগী খুজেদাতুল নাসরিন, আপিল বিভাগের বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যমল দত্তসহ আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :