মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই শহীদ জিয়ার দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ”বিএনপি” গনতন্ত্রের গঠনতান্ত্রিক কাঠামোর আলোকে তাদের গনতান্ত্রিক আদর্শ বা চর্চা শক্তভাবে আখড়ে ধরেছে। গনতন্ত্রের মানষকন্যা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার দৃষ্টান্ত বা প্রমান বহন করে চলেছেন। 

দলের এই গনতন্ত্রকে আরো সচেষ্ট করতে পুর্বের ন্যয় আগামীকাল ২২ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল। দীর্ঘদিন পরে দলের এই গনতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার কাউন্সিলকে সামনে রেখে নেতা কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে এক আনন্দ ও উচ্ছাসের হৃদস্পন্দন। 

দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর সময় ধরে দল ক্ষমতায় না থাকলেও অভিসংবাধিত নেতা মরহুম এম সাইফুর রহমানের যোগ্য উত্তরাসূরী মৌলভীবাজার জেলার বিএনপির কান্ডারী জননেতা এম নাসের রহমানের ক্যারিসমেটিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে ও গুনে সৈরাচার সরকারের এবং প্রশাসনের নিপীড়ন, অত্যাচার সহ্য করেও দলে সমর্থকদের বিন্দুমাত্র ভাটা পরেনি। তিনি দলকে দু:সময়ে শক্তভাবে আখড়ে ধরে হয়ে উঠেছেন নেতাকর্মীদের মধ্য তাদের রাজনৈতিক প্রাণপুরুষ বা অভিভাবক। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কাউন্সিল গনতান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন করতে ১২ টি ইউনিয়নে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সার্বিক সহযোগীতায় দিনরাত পরিশ্রম করে নেতাকর্মীর মাধ্যমে কমিটি গঠন করে অল্প সময়ে সাফল্য অর্জন করেছেন যা এখন দৃশ্যমান।

দলের মতাদর্শে জননেতা এম নাসের রহমানের এই গনতান্ত্রিক মানষিকতাকে টিকিয়ে রাখতে এবং ধারন করতে আগামীকালের কাউন্সিলে সকল ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীদের পালন করতে হবে এক চেলেন্জিং গুরুত্বপুর্ন দায়িত্ব, যার মাধ্যমে নির্ভর করছে তৃনমুল বিএনপি কতটুকু শক্তিশালী হয়ে উঠবে। যে যাই বলুক না কেন আগামী কালের তৃনমুলের ভোটাররাই হলেন বিএনপির কেন্দ্রের চালিকাশক্তি। সেহেতু আপনাদের কিছু জিনিস লক্ষ্য রেখে ভোট প্রদান করতে হবে। 

ভোট প্রদানে যে সকল বিষয় আপনি লক্ষ্য রাখতে রাখতে পারেন এবং যাদেরকে ভোট প্রদান করবেন:-

(১) বিগত সৈরাচার আমলে যারা মাঠে থেকে জেল জুলুমের স্বীকার হয়েছেন, 

(২) যাদের মধ্যে দলকে ব্যবহার করে পায়দা গ্রহনের মানষিকতা নেই, 

(৩) যারা কর্মীকে দলের চালিকা শক্তি মনে করবেন, 

(৪) যারা নির্বাচিত হয়ে দল ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন ধান্দা করা থেকে বিরত থাকবেন,  (৫) যাদের মধ্য শিক্ষার যতেষ্ট গুনাবলী রয়েছে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে আপনাদের ভোট প্রদান করতে হবে।

কোন হাইব্রিড নেতা বা অনুপ্রবেশকারী যাতে স্থান না পায় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে। সামনে জাতীয় নির্বাচন সুতরাং এই কাউন্সিলকে পরীক্ষামুলক গনতান্ত্রি চর্চা হিসাবে মূল্যায়ন করতে হবে, যার মাধ্যমে জনগনের মধ্যে গনতন্ত্র চর্চার সঠিক তথ্য পৌছাবে। আগামীকালের নির্বাচনে প্রমান করে দিতে হবে তৃনমুলই দলের চালিকা শক্তি যারা যোগ্য নেতা তৈরীতে বিশ্বাসী। আসুন আগামীকাল হোক আপনাদের গনতান্তিক ক্ষমতা  ও অধিকার প্রয়োগের শুভ সুচনা।

এড. নিয়ামুল হক, সদস্য, আহ্বায়ক কমিটি

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম মৌলভীবাজার ইউনিট

একুশে সংবাদ/মৌ.প্র/এ.জে