আগামী অর্থবছর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ পর্যন্ত মহার্ঘ ভাতা পেতে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গত ডিসেম্বর মাসে গঠিত একটি সাত সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গ্রেডভিত্তিক ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা প্রদানের সুপারিশ করে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এতদিন এই প্রস্তাব কার্যকর না হলেও এখন তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, একাদশ থেকে বিংশ গ্রেডের কর্মচারীরা ২০ শতাংশ এবং প্রথম থেকে দশম গ্রেডের কর্মচারীরা ১০ অথবা ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পেতে পারেন। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে আগের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে আগামী বাজেটে অতিরিক্ত প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। তবে ১ম থেকে ১০ম গ্রেডে ১০ শতাংশ হারে ভাতা দিলে খরচ হবে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা এবং ১৫ শতাংশ হারে দিলে ব্যয় হবে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা।
২০১৫ সালের পর থেকে নতুন কোনো বেতন কাঠামো না আসায় এই মহার্ঘ ভাতা অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। আগামী সপ্তাহে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করার কথা রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ছিল ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা সংশোধিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার কোটি টাকায়। এখন নতুন ভাতা চালু হলে সরকারি ব্যয়ের বড় একটি অংশ গুনতে হবে সরকারকে।
সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল মহার্ঘ ভাতা চালুর। নতুন উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে তা তাদের জন্য বড় স্বস্তির বার্তা হয়ে উঠবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
একুশে সংবাদ/ আ.ট/এ.জে