AB Bank
ঢাকা সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

তীব্র গরমের মাঝেই খুলল স্কুল-কলেজ, অনলাইনে ক্লাস দাবি অভিভাবকদের


Ekushey Sangbad
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
০২:০২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
তীব্র গরমের মাঝেই খুলল স্কুল-কলেজ, অনলাইনে ক্লাস দাবি অভিভাবকদের

তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ থেকে খুলেছে স্কুল-কলেজ।  সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কারো হাতে পানির বোতল, কারো তরল খাবার। সেগুলো সঙ্গে নিয়েই তীব্র গরমের মধ্যে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাবার তোড়জোড় সবার।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল আটটায় শুরু হয় নতুন সময় সূচিতে শিক্ষা কার্যক্রম।  এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের সবার বাসা তো কাছে না। এ কারণে যাদের বাসা দূরে, তীব্র তাপদাহের মধ্যে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসাটা কষ্টের। এর মধ্যে রাস্তায় যানজট, ধুলাবালি তো আছেই।

তবে স্কুল-কলেজ খোলায় খুশি অভিভাবকরা। তারা জানান, বাসাতেও ফ্যানের নিচে থাকতে হয়, স্কুলেও ফ্যানের নিচে বসেই ক্লাস করবে। সবার বাসায় তো এসি নেই, যে তাদের বাসায় থাকলে তাপপ্রবাহ ভোগ করতে হবে না। বাচ্চাদের শরীরে যেন পানির ঘাটতি বা হয় সে কারণে এক বোতলে স্যালাইন পানি আরেক বোতলে লেবুর পানি দেয়া আছে। তবে বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালে যেন বিদ্যুৎ থাকে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাচ্ছি। বিদ্যুৎ না থাকলে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।

এদিকে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী গরমের মধ্যে ক্লাস করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। যার কারণে অভিভাবকদের দাবি, গরমের এই তীব্রতার মধ্যে স্কুল বন্ধ কিংবা অনলাইনে ক্লাস নিলে সেটি ভালো হয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা রহমান বলেন, অনেক গরম। ক্লাস করার সময় আমার অনেক খারাপ লেগেছে। পরে আমি বমি করে দিয়েছি। স্কুল বন্ধ করে দিলে ভালো হয়।

এই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র মো. ফাইক জানায়, ক্লাসরুমে অনেক গরম। অনেক কষ্ট হয়েছে। কারণ রুমে এসি নেই। মো. ফাইকের মা বলেন, এই গরমের মধ্যে আমি তাকে বাইরে বের হতে দেইনি। আজকে প্রথম ক্লাস করেছে ও। অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে গরমে। এই গরমে শিশুদের বমি হওয়াটা স্বাভাবিক। এখন বাসায় যাওয়ার পর তার কী অবস্থা হয় সেটা পর্যবেক্ষণ করে স্কুলে আগামীকাল আনবো কিনা সিদ্ধান্ত নিবো।

এই অভিভাবক বলেন, আমি মনে করি করোনাভাইরাসের সময় অনলাইনে ক্লাস হয়েছে, এখনও গরমের মধ্যে একই নিয়মে ক্লাস হতে পারে। তারপর পরিস্ত যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে তখন আবার সরাসরি ক্লাস হতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়ে ক্লাস চলবে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। আর দুই শিফটের প্রথমটি চলবে, সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় শিফট চলবে, সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তবে তাপপ্রবাহ সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। এদিকে সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির।


একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

Link copied!