বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিপত্র নিয়ে দেশান্তরিত হয়েছেন সংস্থাটির প্রশাসন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন ও বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তা সোহান আহমেদ।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান।
তিনি জানান, ‘তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। আদালত থেকে অনুমতি আসলে তদন্ত শুরু হবে।’
এদিকে বিমান কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে জানায়, গত ২৪ অক্টোবর অফিসে আসার পর বিকেলেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩০৫ ফ্লাইটযোগে কানাডার টরন্টোতে পাড়ি জমান প্রশাসন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আনোয়ার হোসেন। তার অফিস ত্যাগের পর থেকেই উধাও বিমানের গোপনীয় বিভিন্ন এগ্রিমেন্ট, আরআই পলিসি ও সফটওয়্যার সম্পর্কিত স্পর্শকাতর নথিপত্র।
একইভাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন গোপন নথি চুরি করে দেশ ছেড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদও। আনোয়ার হোসেনের গন্তব্য জানা গেলেও সোহান আহমেদ কোথায় গেছেন, তা জানা যায়নি।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মাছুদুল হাছান। এদিকে সোহান আহমেদের গন্তব্য না জানতে পারায় শুধু অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেনের পাসপোর্ট বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছে বিমান।
বিমান সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানাধীন হরিয়ায়। সপরিবারে তিনি রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন ৭ নম্বর সেকশনে বসবাস করতেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই দেশ ছেড়েছেন। আর সোহান আহমেদ সপরিবারে রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনপত্র দিয়ে কর্মস্থল ছাড়েন।
অভিযুক্ত দুজনই বিমানের বিভিন্ন গোপনীয় নথিপত্রের তথ্যাদি পাচার করতে পারেন বলে শঙ্কা রয়েছে, যা বিমানের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

