সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা তেমন নেই। কাঠ কারখানায় দু-চারটি করে ডিঙ্গি নৌকা বানিয়ে রাখা আছে। নতুন করে ডিঙ্গি নৌকা কম বানানো হচ্ছে। নৌকার বেশী চাহিদা না থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে বর্ষাকালের শেষ ভাগে বেশীরভাগ ভাগ মাঠ প্রান্তরে বন্যার পানি নেই।
উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিমাঞ্চলের উধুনিয়া ও বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের খাল বিল ,আবাদী মাঠ প্রান্তর স্বাভাবিক বন্যাতেই পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া মোহনপুর, দুর্গানগর, বাঙ্গালা, পূর্ণিমাগাতী ইউনিয়নের বেশীর ভাগ মাঠ প্রান্তর বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকে। এলাকার গ্রামীণ বসতি পরিবারগুলোর মাঝে ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বাড়ে।
বিভিন্ন কাঠের আড়ত ও হাটে ডিঙ্গি নৌকা কেনাবেচা হয়। এখন আষাঢ় মাসের শেষ ভাগ চলছে। এবারের বর্ষাকালে বেশীরভাগ মাঠে বন্যার পানি নেই। এতে ডিঙ্গি নৌকার তেমন চাহিদা নেই। উপজেলার গয়হাট্রা, সিমলা বাজার, কয়ড়াসহ আরো কয়েক এলাকায় প্রায় সব কাঠের আড়তে দু-চারটি করে ডিঙ্গি নৌকা বানিয়ে রাখা আছে।
সিমলা বাজারের মিলন বলেন, বেশ কয়েকটি ডিঙ্গি নৌকা বানিয়ে রেখেছেন। খদ্দের আসছে না। পাথার এলাকার হাটে তিনি বানানো ডিঙ্গি বিক্রি করেন। সেখানেও তেমন চাহিদা নেই। তিনি আশা করছেন বন্যার পানি বেড়ে মাঠ প্রান্তর তলালে পাথারের বসতি পরিবারগুলোর অনেকেরই কাছে ডিঙ্গি নৌকার চাহিদা বাড়বে।
একুশে সংবাদ/স.স.প্র/জাহা