AB Bank
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সেন্টমার্টিনে চলছে মোখার তাণ্ডব


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৪:৩৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৩

সেন্টমার্টিনে চলছে মোখার তাণ্ডব

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, রোববার দুপুরে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা।

 

এদিকে রোববার (১৩ মে) দুপুর ১টার পর সেন্টমার্টিনে তাণ্ডব শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড়টি। অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে ইতোমধ্যে সেন্টমার্টিনের অনেক স্থাপনা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান সেখানকার বাসিন্দারা। এ ছাড়া গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

স্থানীয় বাসিন্দা আবদু মালেক জানান, দুপুর ১টার পর থেকে বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। দুপুর ২টা থেকে রীতিমতো সেন্টমার্টিনকে লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে মোখা। একের পর এক ঘরের চাল উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়েছে বলে জানান তিনি।

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে মোখার ভয়াবহ আঘাত শুরু হয়েছে। এর সঙ্গে যদি পানি ঢুকে পড়ে, তবে বড় ধরনের বিপদ হবে। দেশবাসী সবাইকে সেন্টমার্টিনের বাসিন্দাদের জন্য দোয়া করার অনুরোধ জানান তিনি।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের ওপর। যে কারণে বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ঝুঁকি কেটে গেছে।

 

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা টেকনাফ থেকে ৫০-৬০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ মিয়ানমারের সিট্যুয়ে অঞ্চল দিয়ে যাবে। রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁও আবহাওয়া অধিদপ্তর ভবনে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির সম্ভাবনা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই।

 

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে।

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, বিকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হয়, তা হলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা থাকবে। তবে পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।

 

একুশে সংবাদ/জ/এসএপি

Link copied!