AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ


Ekushey Sangbad
A Ziadur Rahaman Zihad (এ জিহাদুর রহমান জিহাদ)
০১:৪৪ এএম, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩
আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ

বছর ঘুরে আবার দরজার হাজির হয়েছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির প্রাণের উৎসব এটি। ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সবাই এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে। বর্ণিল স্বাদ আর আয়োজন এর উৎসবে মেতে উঠেন সবাই। এই বর্ষবরণের মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা আর  ছায়া নটের রমনার বটমূলের সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

 

আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। পুরাতন বছরের জরা দূর করে নতুনের কেতন উড়িয়ে বৈশাখ এসেছে বাংলাকে নবরূপ দিতে। বৈশাখের বাতাবরণে ধরণী অস্থির হলেও বাঙালির মন হয়ে ওঠে আরও যৌবনা। অতীতের সব গ্লানি মুছে বাঙালি ফিরে পায় নবপ্রাণ।

 

এই দিনটিকে ঘিরেই গ্রামের মানুষ এখনো তাদের জীবনপঞ্জিকা সাজায়। নানা স্বাদের পিঠা-পায়েসে আপ্যায়ন চলে দিনভর। চলে পান্তা উৎসবের মহাযজ্ঞ। সাম্প্রতিক বছরগুলোত বৈশাখ উৎসবে যোগ হয়ে জাতীয় মাছ ইলিশও। 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা চত্বরে চলছে মঙ্গল শোভা যাত্রার শেষ সময় প্রস্তুতি। রং তুলির আঁচড়ে শিল্পীরা ফুটিয়ে তুলছেন লক্ষ্মীপেঁচা সরাই বা পটচিত্র। শোভাযাত্রায় ব্যবহার্য অনুষঙ্গ রং তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলার এখন চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি।

 

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায় শোভা পাবে বাঘ হাতি টেপা পুতুল ময়ূর মিলগাই সহ বিভিন্ন মোটিভ। প্রতিটি মহটিবি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী যা আবহমান গ্রাম বাংলায় এক সময় বিচরণ ছিল আস্তে আস্তে তা হারিয়ে যাচ্ছে।

 

রমনার বটমূলে চলছে মঞ্চ সজ্জা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতি পর্ব।

 

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩০’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

 

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির, কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনার শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন। অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাঁদের পুরানো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি আজও পালিত হয়

Link copied!