ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ জারি করেন। আদালত এই সিদ্ধান্ত নেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের মনোনীত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করা রিটের শুনানির পর।
এছাড়া, বামজোটের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, এস এম ফরহাদের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে হবে।
২৬ আগস্ট প্রকাশিত চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে নাম লিখিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ২৮ জন প্রার্থী স্বেচ্ছায় নাম প্রত্যাহার করেছেন। অপরদিকে, বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় তাদের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী পদভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা হচ্ছে: সহ-সভাপতি (ভিপি) ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ জন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যান্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা: গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক ১৫ জন।
সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা গেছে সদস্য পদে, যেখানে মোট ২১৭ জন প্রার্থী লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে এই ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
একুশে সংবাদ/স.ট/এ.জে