ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ইরানি সামরিক কমান্ডার ও বিজ্ঞানীদের জানাজা ঘিরে জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে ইরানের রাজধানী তেহরান। শনিবার (২৮ জুন) হাজারো মানুষ জানাজায় অংশ নিতে শহরের রাস্তায় জড়ো হন।
ইরান-ইসরায়েল চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে জানাজার আগে বক্তৃতায় কড়া বার্তা দেন ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিশনের প্রধান মুজতবা আজিজি। তিনি বলেন, “১২ দিনের সংঘাত আবারও প্রমাণ করেছে—ইরানের জাতীয় ঐক্য অটুট এবং দৃঢ়। আমরা কখনও মাথা নত করিনি, বরং শত্রুকে আমাদের শর্ত মানতে বাধ্য করেছি।”
তার দাবি, হতাহত ও ধ্বংসের মধ্যেও এই লড়াইয়ে ইরানের প্রতিপক্ষরা একরকমভাবে ইরানের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। “আমরা বিশ্বাস করি, আগামীতেও শত্রুরা ইরানিদের ইচ্ছার সামনে নতি স্বীকার করবে,”—যোগ করেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি ইরান আবার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে এগোয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ফের সামরিক জবাব দেবে।”
পরমাণু কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA)-এর পর্যবেক্ষণ প্রসঙ্গেও আলোচনা উঠে এসেছে। ট্রাম্প এজেন্সির পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দেন। তবে ইরান ইতোমধ্যে একটি আইন পাশ করেছে, যেখানে আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, “আইএইএ যদি জোর করে পরিদর্শনে আসে, সেটি কোনো চুক্তির অংশ নয়—বরং এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আমাদের জনগণ ও সার্বভৌম স্বার্থ রক্ষায় ইরান যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।”
একুশে সংবাদ/আ.ট/এ.জে