ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৮৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষ খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন স্থানে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে গোলাবর্ষণ চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহ শহরে খাদ্য সংগ্রহে আসা অন্তত ২৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মধ্য গাজার সালাহ আল-দীন সড়কে প্রাণ হারান আরও ২৫ জন। সবমিলিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪০ জন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গাজায় চলমান অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫৬ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। এদিকে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রগুলোতে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তীব্র ভিড় ও রক্তাক্ত দৃশ্য বিরাজ করছে। নুসাইরাত শরণার্থী শিবির ও খান ইউনিসের হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই সহায়তা নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর গুলি চালায়। অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সড়কে লুটিয়ে পড়েন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, সন্দেহজনক কিছু কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি হামলার শামিল।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, “খাদ্য নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে— এটি একটি ভয়াবহ বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সকল পক্ষকে মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।”
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৮৬ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষ খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারান। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে গাজার বিভিন্ন স্থানে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে গোলাবর্ষণ চালায় ইসরায়েলি সেনারা। গাজার দক্ষিণাঞ্চল রাফাহ শহরে খাদ্য সংগ্রহে আসা অন্তত ২৭ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। মধ্য গাজার সালাহ আল-দীন সড়কে প্রাণ হারান আরও ২৫ জন। সবমিলিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৪০ জন, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গাজায় চলমান অভিযানে মোট মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৫৬ হাজার। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ। এদিকে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রগুলোতে হামলার ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, আহত ও নিহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে এবং হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তীব্র ভিড় ও রক্তাক্ত দৃশ্য বিরাজ করছে। নুসাইরাত শরণার্থী শিবির ও খান ইউনিসের হাসপাতালগুলোতে মৃতদেহ ও আহতদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনী কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই সহায়তা নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর গুলি চালায়। অনেকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সড়কে লুটিয়ে পড়েন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবশ্য দাবি করেছে, সন্দেহজনক কিছু কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে তারা প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়। তবে আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, এই হামলাগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন এবং সাধারণ মানুষের ওপর সরাসরি হামলার শামিল।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক বলেছেন, “খাদ্য নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে— এটি একটি ভয়াবহ বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে সকল পক্ষকে মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।”
একুশে সংবাদ/ স.কা/এ.জে