ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর তীব্র হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩২৯ জনের বেশি। ইরানের একাধিক স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শুক্রবার (১৩ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এখনো সরকারিভাবে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়নি।
ভোররাতে তেহরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রথম দফার বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। এরপর দেশটির আরও কয়েকটি প্রদেশে একযোগে আঘাত হানে ইসরায়েল। হামলায় মূলত ইরানের সামরিক নেতৃত্ব ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, তেহরানে কয়েকটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বিপ্লবী গার্ডের প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং বেশ কয়েকজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী।
হামলার জবাবে ইরান শতাধিক আক্রমণাত্মক ড্রোন ব্যবহার করে পাল্টা হামলার চেষ্টা করলেও সেগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েল ও জর্ডানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
টাইমস অব ইসরায়েল-এর বরাত দিয়ে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ জানিয়েছেন, হামলার পর ইসরায়েলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং নাগরিকদের যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি এ হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকেও দায়ী করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “এই হামলার নির্মম পরিণতি ইসরায়েলকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে।”
একুশে সংবাদ/যু/এ.জে