ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা বিমান হামলায় অন্তত ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু উত্তর গাজাতেই রাতভর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫১ জন।
বুধবার (১৪ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছে একাধিক গণমাধ্যম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা জুড়ে বিমান হামলা আরও তীব্র করেছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়, মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হওয়া এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
দক্ষিণ গাজার ইউরোপীয় এবং নাসের হাসপাতাল লক্ষ্য করে চালানো পৃথক হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। হাসপাতাল চত্বরে হতাহতদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৯০৮ জনে। আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৭২১ জনের বেশি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। কিন্তু গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ফের আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল।
এই নতুন দফার হামলায় গত ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত আরও ২ হাজার ৭৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ৭ হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলমান সংঘাতে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুলসহ প্রায় সব ধরনের অবকাঠামো।
এর আগে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় চালানো গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) শুনানার মুখোমুখি হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এ.জে