মিয়ানমারে ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সর্বোচ্চ ৭.৭ মাত্রার কথা বললেও চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার (সিইএনসি) জানিয়েছে, ঝাঁকুনিটির মাত্রা ছিল ৭.৯।
এর মধ্যেই থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভূমিকম্পের ভয়াবহতা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় বহুতল ভবন কাঁপছে। ভবনের সুইমিং পুল থেকে পানি ছিটকে পড়ছে মাটিতে।রাস্তায় আতঙ্কিত মানুষ বেরিয়ে আসছেন। স্থানীয়রা ভবনটির ভেঙে পড়ার ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। অনেকে দৌড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
এ ছাড়া একটি ভয়ংকর দৃশ্যও সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি নির্মাণাধীন আকাশচুম্বী ভবন নিমিষেই সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ছে। ওই ভবনের ৪৩ জন নির্মাণকর্মী নিখোঁজ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারে ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। থাই প্রধানমন্ত্রী পেতোংটার্ন শিনাওয়াত্রা এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন তিনি। এ কারণে তিনি দক্ষিণ দ্বীপ ফুকেটে একটি সরকারি সফর স্থগিত করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, অন্য ভূকম্পনটির মাত্রা ছিল ৬.৪। প্রথম কম্পনটি স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সাগাইং শহরের ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।
একুশে সংবাদ/ এস কে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

