অবরুদ্ধ গাজার পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চলাকালে ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া, ইসরায়েল শরণার্থী শিবিরে আক্রমণ জোরদার করছে বলেও জানানো হয়। শুক্রবার (৭ জুন) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত তিনজনের নাম ইব্রাহিম তাহের মুহাম্মদ আল-সাদি (২১), ইসা নাফেজ জাল্লাদ (১৭) ও উদয় আয়মান মারেই (২৪), ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জেনিনের সরকারি হাসপাতালের পরিচালকের উদ্ধৃত দিয়ে জানিয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক উইসাম বকর বলেছেন, এ হামআয় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের জেনিনের আল-রাজি এবং ইবনে সিনা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা অভিযানের সময় আটজন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা করেছে, যাদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ এবং দুইজন ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সশস্ত্র শাখা আল-কুদস ব্রিগেড এক বিবৃতিতে বলেছে যে তাদের যোদ্ধারা জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছে ‘মারাত্নক সংঘর্ষে’ জড়িয়েছিল।
ওয়াফা তার প্রতিনিধির উদ্ধৃত দিয়ে জানিয়েছে, বুলডোজার সহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর যানবাহনের একটি কনভয় অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার দ্বারা সমর্থিত এলাকায় প্রবেশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বিশেষ বাহিনীর ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কগুলো স্থানীয় বিক্রেতাদের দোকানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে এবং আশ্রয় শিবিরের প্রধান বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের দিকে হামলা চালায়, যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়।
এছাড়া, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলো হাসপাতালগুলো ঘেরাও করে রেখেছে এবং জরুরী সেবাগুলো আহতদের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এমনকি আটক করার নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নিয়মিতভাবে শহর এবং এর সংলগ্ন ক্যাম্পে অভিযান চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার পর।
একুশে সংবাদ/ এস কে