AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিয়ের দেনমোহর হজ, অবশেষে স্বপ্নপূরণ


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০১:০৮ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২৩
বিয়ের দেনমোহর হজ, অবশেষে স্বপ্নপূরণ

চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল জাপানি নওমুসলিম নারী আলমাস চোজির। সে সময় তিনি হজ পালন করাকেই নিজের দেনমোহর হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু কোভিড মহামারির কারণে হজে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। চার বছর পর এবার তিনি হজ করতে সমর্থ হন। তার ভাষায় হজ হচ্ছে, নিজের সব কিছুকে পেছনে ফেলে মহান রব্বুল আলামিনের সান্নিধ্যে কিছুটা সময় অতিবাহিত করা।

 

সৌদি আরবের সেন্টার ফর গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনকে (সিজিসি) এক সাক্ষাৎকারে জীবনের প্রথম হজের অনুভূতির কথা বলছিলেন আলমাস। সেখানে তিনি বলেন, জাপানের একটি ফুড কোম্পানিতে কর্মরত এক মুসলিম শ্রমিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তিনি প্রথমবারের মতো ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারেন। ইসলামের মৌলিক বিষয় ও হালাল খাবার সম্পর্কেও তার কাছেই ধারণা লাভ করেন।

 

একপর্যায়ে আলমাস মুসলিম হয়ে যান। চার বছর আগে ৩৫ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেন। সে সময় হজ পালনকেই নিজের বিয়ের মোহরনা হিসেবে নির্ধারণ করেন তিনি। তবে কোভিড মহামারির কারণে হজ পালনে নানা নিষেধাজ্ঞা ও সীমাবদ্ধতা থাকায় তারা হজ করতে যেতে পারেননি। তবে এ বছর সব নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় হজ করার সুযোগ পান আলমাস সোজি।

 

প্রথমবারের মতো স্বচক্ষে পবিত্র বাইতুল্লাহ শরিফ দেখার অনুভূতি জানাতে গিয়ে আলমাস বলেন, আগেও অনলাইনে পবিত্র এ ঘরের অনেক ছবি দেখেছি। কিন্তু চোখের সামনে বাইতুল্লাহ দেখার পর মনে হচ্ছে, আল্লাহর এ ঘর কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর।

 

হজের সফর তাকে জীবনের নতুন পথের সন্ধান দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হজ মানে তো নিজের অর্থ-সম্পদসহ সবকিছুকে পেছনে রেখে মহান প্রভুর সান্নিধ্যে কিছু সময় অতিবাহিত করা। হজ নিজের সত্ত্বাকে আবিষ্কার করতে সহায়তা করে, নতুনভাবে পথ চলতে প্রেরণা জোগায়।

 

হজ করে উচ্ছ্বসিত আলমাস সোজি বলেন, এখানে শুধু হজের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমই পালিত হয় না, বরং হজে এসে পুরো বিশ্বের মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়। মুখে মাস্ক থাকায় অনেকের চেহারা দেখেনি, তারপরও নিজেদের মধ্যে পরিচিত একটি টিম তৈরি হয়ে যায়। এটি সত্যিই খুব আনন্দদায়ক একটি মুহূর্ত।

 

আলমাস চোজির সহযাত্রী আরেক জাপানি নারী মুরামা সুগুকু বলেন, তিনিও নওমুসলিম। তিনি যখন আযান শুনেছিলেন, তখন তার ভেতরে যেন ঝড় বয়ে যায়। তিনি তখন কেমন যেন অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েন। পরে তিনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরবর্তী সময়ে মুসলমান হয়ে যান।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!