নিয়মিত দিনে প্রতিদিন যেখানে পাঁচ থেকে সাত হাজার রোগীর ভিড় থাকে, সেই জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এখন পুরোপুরি নীরব। টানা চতুর্থ দিনের মতো বন্ধ রয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম। বন্ধ রয়েছে প্রধান দুটি ফটক। রোগীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন, হাসপাতালের ভেতরে অলস সময় পার করছেন দায়িত্বে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
শনিবার (৩১ মে) সরেজমিনে হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা গেছে, কেউ কেউ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা না পেয়েই। যেমন স্বপন নামের এক ব্যক্তি তার ছেলে আলামিনকে চোখের চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে ফিরে গেছেন। রেখা নামে ৬০ বছর বয়সী এক নারী, যার সম্প্রতি অপারেশন হয়েছিল এই হাসপাতালে, তাকেও এদিন চিকিৎসা না পেয়ে চলে যেতে হয়েছে।
জানা গেছে, হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকলেও ভেতরে অবস্থান করছেন জুলাই গণআন্দোলনের আহত শতাধিক যোদ্ধা। তাদের জন্য রসদ যোগান দিতে কয়েকজন লোক রান্নার কাজে নিয়োজিত থাকলেও চিকিৎসক, নার্স কিংবা প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেউই এখন আর হাসপাতালে নেই।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি কর্মসূচিতে হামলা চালান আন্দোলনকারীরা। এতে অন্তত ১৫ জন স্টাফ আহত হন। এর পরপরই আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারপর থেকেই কার্যত হাসপাতালটির নিয়ন্ত্রণ চলে যায় জুলাই যোদ্ধাদের দখলে।
চিকিৎসা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন হাজারো রোগী চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছেন। পরিস্থিতি দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
একুশে সংবাদ / জা.নি/এ.জে