পবিত্র রমজান মাস। এ মাসে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা রোজা পালন করেন। ফজরের আগ মুহূর্তে সেহরি খাওয়ার পর সারাদিন না খেয়ে থেকে সন্ধ্যায় মাগরিবের সময় ইফতার করেন। এ সময় নানা আয়োজন থাকে খাদ্যতালিকায়। তবে রোজায় ইফতারে খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার খেজুর।
ইফতারে খেজুর খাওয়াতে যেমন ধর্মীয় বিভিন্ন ফজিলত রয়েছে, একইভাবে রয়েছে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শুধু ইফতারে নয়, বছরের অন্যান্য সময়ও খেজুর খাওয়া যায়। খেজুরের উপকারিতা নিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ফুড দার্জির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফিটনেস এবং পুষ্টি বিজ্ঞানী ডা. সিদ্ধান্ত ভারগব এবং হলিস্টিক লাইফস্টাইল কোচ - ইন্টিগ্রেটিভ এবং লাইফস্টাইল মেডিসিন এবং You Care-এর প্রতিষ্ঠাতা লোক কৌতিনহো। এবার তাহলে সেখান থেকে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
হাড়ের স্বাস্থ্য: স্বাভাবিকভাবে খেজুরে ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার থাকে। যা ভিটামিন-ডি এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে হাড় মজবুত হয়। পাশাপাশি দাঁতও শক্তিশালী হয়। আবার পটাশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম উপপাদন অস্টিওপোরোসিস এবং আর্থ্রাইটিসের মতো হাড় সম্পর্রিক বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধেও উপকারী খেজুর।
শক্তি সঞ্চয়: ক্লান্তি, অলস অনুভব থেকে মুক্তি পেদে কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন হয়। আর খেজুর হচ্ছে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। এ জন্য খেজুর খাওয়ার পর তা শরীরে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি সঞ্চয় হয় শরীরে।
হজম শক্তি বৃদ্ধি: বিপাক ক্রিয়া ধীর হয়ে যায় অনেকের। যা থেকে হজমে সমস্যাও হয়ে থাকে। এ সমস্যা থেকে মুক্তির পর খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
বাতের ব্যথা উপশমে খেজুর: ম্যাগনেশিয়াম ও প্রদাহরোধী উপাদানে ভরপুর খেজরু। এ কারণে খেজুর খাওয়ার ফলে বাতের ব্যথা উপশত হয়।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: অনেকেরই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিসহ হার্টের নানা সমস্যা থাকে। যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা খেজুর খেলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস পায়। একই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেক কমে।
একুশে সংবাদ/ সাএ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

