কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আহমেদুল কবির। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সারা দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ড. আহমেদুল কবির বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৮ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে ১৮ জন, ছয় থেকে নয় দিনের মধ্যে ছয় জন এবং নয় থেকে ৩০ দিনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।’
আহমেদুল কবির আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে ২০ বছরের বেশি বয়সীরা অধিক আক্রান্ত। মৃত্যু বেশি ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে। বেশি মারা যাচ্ছে ঢাকার বাইরে। হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মারা যাচ্ছে। ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।’
এর আগে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৭৫ জন প্রাণ হারাল।
এ ছাড়া এ সময়ে ৬৪৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪১৫ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং বাকি ২৩২ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই হাজার ৪৮১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮১২ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৬৬৯ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১২ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২২ হাজার ৫১৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৬ হাজার ৭৬২ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৫৫ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১৯ হাজার ৯৬১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। এদের মধ্যে ১৪ হাজার ৯০৮ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি পাঁচ হাজার ৫৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
একুশে সংবাদ.কম/এন.টি/না.স