বঙ্গোপসাগরে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম ওড়িশাটিভি। রোববার (২৩ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওড়িশাটিভির তথ্যমতে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি দুর্বল নিম্নচাপ ধীরে ধীরে তীব্র হয়ে ‘সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অঞ্চলে’ পরিণত হয়েছে। এটি সোমবার আরও শক্তিশালী হয়ে পূর্ণাঙ্গ নিম্নচাপে রূপ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে সিস্টেমটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর চূড়ান্ত গতিপথ বা কোথায় আঘাত হানতে পারে—সেটি এখনও স্পষ্ট হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে এটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের কাছাকাছি আরও ঘনীভূত হবে।
ভারতীয় আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক বলেন, মালাক্কা প্রণালি ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের অনুকূল আবহাওয়াগত পরিস্থিতির কারণে নিম্নচাপটি ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন (MJO) পর্যায় অতিক্রম করে আরও শক্তি লাভ করতে পারে। সমুদ্রের বিস্তৃত জলরাশি এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আসা শক্তিশালী বাতাসের স্রোত নিম্নচাপটিকে দ্রুত তীব্র হতে সহায়তা করছে। শীতল বাতাসের প্রভাব কমে যাওয়ায় এটি আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেড়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তার ভাষায়, ‘প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের প্রবেশ, সমুদ্রের বিস্তৃতি এবং শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকা—এই তিন কারণে নিম্নচাপটি আরও তীব্র হতে পারে।’
পট্টনায়কের বিশ্লেষণে বলা হয়, এই আবহাওয়াগত সিস্টেমটি ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। বিশেষ করে ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এর শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এ সময়ে দুর্বল নিম্নচাপটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের কাছাকাছি তীব্র রূপ নিতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি প্রক্রিয়ার প্রভাবে ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০–৬০ কিলোমিটারে পৌঁছাতে পারে। ২৬ নভেম্বর এটি ৬০–৭০, এমনকি ৮০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। আর ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

