কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিনসহ বেশ কিছু সমুদ্রসৈকতে প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থীর ভীড়। তবে মোট জনসংখ্যার তুলনায় কজনের সৌভাগ্য হয়েছে এভাবে সমুদ্রে বেড়াতে যাওয়ার? দু’চোখ ভরে সুনীল সাগরের সৌন্দর্য অবগাহনে মেতে ওঠার? সংখ্যাটা নেহাতি হাতেগোনা। এবার রূপালি পর্দায় উঠে আসছে তেমনই একটি গল্প। ‘নীল জলের কাব্য’ নামে টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। আর এতে অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার আলোচিত জুটি আফরান নিশো-মেহজাবীন চৌধুরী।
বছর তিনেক আগে নির্মিত এ টেলিফিল্মের কাহিনি এগিয়েছে একটি মেয়েকে কেন্দ্র করে। যে কিনা সমুদ্র দেখার স্বপ্নে বিভোর। কিন্তু ইচ্ছে হলেই কি গাঙচিল হয়ে সমুদ্রে উড়ে যাওয়া যায়? না, তা সম্ভব নয়। যে কারণে মেয়েটিও স্বপ্নটা বুকে ধরে বেঁচে থাকে। আদৌ সমুদ্র দেখতে পাবে কি না জানা নেই তাঁর!
টেলিফিল্মটি প্রসঙ্গে শিহাব শাহীন বললেন, ‘একটা মেয়ের সমুদ্র দেখার অভিলাস, বহুকাল ধরে তাঁর এই লালিত স্বপ্ন পূরণের সংগ্রামকেই টেলিফিল্মটিতে চিত্রায়িত করেছি। যেটা আমাদের বাস্তবতায় অনেকের সঙ্গেই মিলে যাবে। কেননা আমরা চাইলেই কিন্তু সব ইচ্ছা বা স্বপ্ন পূরণ হয় না।’
পাশাপাশি টেলিফিল্মটি নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্নও শিহাব শাহীন। তিনি বললেন, ‘‘টেলিফিল্ম হিসেবেই ‘নীল জলের কাব্য’ নির্মাণ শেষ করেছিলাম। এখন যেহেতু ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছে, তাই এটি ওয়েব ফিল্ম হয়েছে। কিন্তু প্রথমে আমরা চ্যানেল আই টেলিভিশনের জন্যই বানিয়েছিলাম। এখন টেলিভিশন কনটেন্ট ওটিটিতে কেমন হয়, সেই শঙ্কা তো থাকেই! তবে দর্শকরা এটি পছন্দ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ নভেম্বর ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পাবে ‘নীল জলের কাব্য’। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে ট্রেলার। যেখানে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন মেহজাবীন-নিশো। কেননা দীর্ঘদিন পর আবারও এ জুটিকে পর্দায় দেখতে পাবেন তাঁরা।
টেলিফিল্মটিতে নিশো-মেহজাবীন ছাড়াও অভিনয় করেছেন শিরিন আলম, আলমগীর হোসেন, স্বম্পা নিজাম, ইকতারুল, তানিয়া বিনতে মেহেক প্রমুখ। চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহান সুলতানা। চিত্রগ্রহণে ছিলেন নাঈম ফুয়াদ।
একুশে সংবাদ/ইন.টি/না.স
আপনার মতামত লিখুন :