২৮ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে। তবে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, তাসকিন আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসানের বোলিং তোপে ১২৪ রানেই গুটিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা। জবাব দিতে নেমে একেবারে শুরুতেই লিটন দাসের উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটের সহজ জয় পায় টাইগাররা।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হন লিটন। ৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান যখন ১ উইকেটে ১০, তখনই নামে বৃষ্টি। সোয়া আটটার দিকে বন্ধ হওয়া খেলা আবার শুরু হয় ৮টা ৫৫ মিনিটে। তবে কাটা যায়নি কোনো ওভার। তবে ৭ ওভার ২ বলে আবারও হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। বাংলাদেশের রান তখন ৭ ওভার ২ বল শেষে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৪৪।
৫৭ রানের মাথায় লুক জংওয়ের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে শন উইলিয়ামসের হাতে ধরা পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৪ বলে ১ বাউন্ডারিতে ২১ রান আসে তার ব্যাটে। তৃতীয় উইকেটে জিম্বাবুয়ের বোলারদের ওপর চড়াও হন তানজিদ ও তাওহিদ হৃদয়। অপরাজিত ৬৯ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই দুজন। ৬৭ রানের ইনিংস খেলা তানজিদ নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৬ বলে। ৪৭ বলের ইনিংসে ৮টি চারের পাশাপাশি হাঁকান দুটি ছক্বা। আরেক পাশে হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ৩৩ রান করে।
চতুর্থ ওভারে কোনো উইকেট না হারালেও সাইফউদ্দিনের করা পঞ্চম ওভারে দলীয় দ্বিতীয় উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। জেরল্ড গাম্বিকে তাসকিন আহমেদের ক্যাচ বানান সাইফউদ্দিন। পরের ওভারে জিম্বাবুয়ে শিবিরে চূড়ান্ত আঘাত হানেন মেহেদী। প্রথম দুই বলেই ফেরান বেনেট ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজাকে। এর মধ্যে একজন ফেরেন রানআউট হয়ে। তাসকিন আহমেদের করা পরের ওভারের প্রথম দুই বলে আরও ২ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
৪২ রানে ৭ উইকেট হারানো দলকে এরপর টেনে তোলেন মাদান্ডে ও ওয়েলিংটন। প্রথমদিকে ধীরগতিতে রান তুললেও শেষ দিকে বেশ মারমুখো ব্যাটিং করেন এই দুজন। এর মধ্যে শরিফুলের করা ১৬তম ওভারে ১১ ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের করা ১৮তম ওভারে দুই চার ও এক ছক্কায় নেন ১৬ রান। অবশেষে ১৯তম ওভারে ১১৬ রানের মাথায় তাসকিনের আঘাতে ভাঙে তাদের ৭৫ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন মাদান্ডে। শেষ ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে ফেরান সাইফউদ্দিন। ইনিংসের একেবারে শেষ বলে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত থ্রোয়ে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন ওয়েলিংটন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার তাসকিন ও সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে দুজনেই নেন ৩ উইকেট। তাসকিন দেন ১৪ ও সাইফউদ্দিন দিয়েছেন ১৫ রান। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :