AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভিকারুননিসা স্কুলের অধ্যক্ষের ফোনালাপ নিয়ে সর্বত্র আলোচিত


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:০২ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২১
ভিকারুননিসা স্কুলের অধ্যক্ষের ফোনালাপ নিয়ে সর্বত্র আলোচিত

অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে ৪ মিনিটের ওই কথোপকথন এখন সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে। সেই অডিও ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে বিব্রত ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

ওই ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করব।’

এদিকে ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপের অডিওকে ভিত্তিহীন ও ‘সুপার এডিটেড’ বলে মন্তব্য করেছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ।

ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বোডির সদস্যরা। তারা বলছেন, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এ বছরের প্রথম দিন যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে স্কুলে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মন্ত্রী, সচিবালয় এবং সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে তার যোগাযোগ আছে বলে দাবি করেন গভর্নিং বোর্ডের কয়েকজন সদস্য। 

অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মজিদ সুজন বলেন, যোগদানের পর থেকে কলেজের বাসভবনে থাকলেও কামরুন নাহার কখনো নিজ অফিসে বসেননি। অভিভাবকরা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলেও তিনি কারো সঙ্গে দেখা করেন না। ভিকারুননিসার যেসব শিক্ষার্থীর অভিভাবক মারা গেছেন, তাদের বিনা বেতনে পড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হলেও সে বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি অধ্যক্ষ। সভাপতি হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার স্কুলের জন্য সময় দিতে পারেন না বলে অধ্যক্ষ বেপরোয়া হয়ে অনিয়ম করে যাচ্ছেন।

কামরুন নাহারের বক্তব্য

‘আমি ক্যাম্পাসে আসার তিন দিনের মাথায় তারা আমাকে গালিগালাজ শুরু করেন। তাদের কথা মতো নাকি আমাকে চলতে হবে। এর আগের প্রিন্সিপালকে তারা মোবাইল ছুঁড়ে মেরেছেন। আমার বাসায় ঢিল মেরেছেন, আমার দরজায় লাথি মেরেছেন। লাথি মেরে আমার চেয়ারও ফেলে দিয়েছেন তারা।’

তিনি বলেন, ‘তারা চান (অভিভাবক ফোরাম) আমি কিছু আসন ফাঁকা রাখি যাতে তারা ভর্তি বাণিজ্য করতে পারেন। আমি বলেছি, শিক্ষামন্ত্রী আমাকে এখানে থাকতে বলেছেন। এ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমি যদি এদের কথায় ভর্তি বাণিজ্যের মতো অনিয়ম করি, মন্ত্রীর কাছে আমি তখন কী জবাব দেবো।

তিনি বলেন, ‘এবারের ভর্তির লটারির সময়ও তারা ১২০টি সিট খালি রেখেছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০-১৬০ সিট খালি আছে। মূলত সেগুলোতে অবৈধভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে তারা আমাকে অনেক আগে থেকে চাপ দিচ্ছেন। আমি এ প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে চাই। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাই। প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করতে এটি তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। আমি প্রতিষ্ঠানটিকে বাঁচাতে চাই। আপনারা সবাই এগিয়ে আসুন।


একুশে সংবাদ/ঢা/ব
 

Link copied!