বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে আগামী সাত মাস হতে যাচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটময়। এই সময়টি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির পথে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ছয় গুণ বাড়ানোর একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বৈশ্বিক বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রয়োজন হবে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশকে একটি প্রস্তুত বাজার হিসেবে তুলে ধরবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার রূপান্তর ঘটছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ব্রেটন উডস কাঠামো এবং পরবর্তীকালে গঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) যেভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেছে, তা এখন ভেঙে পড়ছে। নতুন বাস্তবতায় অনেক দেশ, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়ার অর্থনীতিগুলো, রপ্তানিনির্ভর মডেলে সাফল্য পেয়েছে।
তিনি বলেন, “জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে। থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনও একই পথে এগিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়া যদিও এতদিন পিছিয়ে ছিল, এবার হয়তো বাংলাদেশের সময় এসেছে।”
অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় রাজনীতির ভূমিকা নিয়েও মত দেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “রাজনীতি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখন এটি আর প্রধান বাধা নয়। এমনকি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলোও এখন ব্যবসাবান্ধব মনোভাবের গুরুত্ব বুঝতে শুরু করেছে।”
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে পরিবহন ও লজিস্টিক খাতে। “বৃহৎ পণ্য দ্রুত ও কার্যকরভাবে পরিবহনের সক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হলে, উৎপাদনশীল অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।”
একুশে সংবাদ// আ.ট/ এ.জে