রমজানের বাকী আর ১ মাস। প্রতিবারই পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে মাংসের বাজার তৈরী হয় অস্থিরতা। তবে এবার তার আগেই বাড়তে শুরু করেছে দাম। ইতোমধ্যে গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৫০ টাকা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া যায়।
রাজধানীর নর্দ্দা, নতুনবাজার, উত্তর বাড্ডা, গুলশান ডিএনসিসির মাংসপট্টিতে দেখা গেছে; প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। যা জানুয়ারির শেষ দিকে ছিল ৭০০ টাকা। অর্থাৎ গত ২ সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে কমপক্ষে ৫০ টাকা।
এদিকে গত বছরের শেষদিকে হঠাৎ করেই গরুর মাংসের দাম কমে যায়। কেজি প্রতি বিক্রি হয় ৬০০ টাকায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে দাবি তোলেন কিছু ব্যবসায়ী। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে ১ কেজির দাম সর্বোচ্চ ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করেন মাংস ব্যবসায়ীরা। গত ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সেই দরে তা পাওয়া যায়।
কিন্তু পরে আবার টালবাহানা শুরু করেন কিছু ব্যবসায়ী। ৬৫০ টাকাতেও বেচে লোকসান হচ্ছে বলে দাবি করেন তারা। তাদের দাবির মুখে, গরুর মাংসের মূল্য ৭০০ টাকা পুনঃনির্ধারণ করে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এখন প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়। এর মানে গত এক মাসে দর বেড়েছে ৫০ টাকা। টিসিবির হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর এসময়ে কেজিতে বিক্রি হয় ৭০০ থেকে ৭২০ টাকায়।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মুর্তজা বলেন, সাধারণত, রোজা ও কুরবানিতে ভালো দাম পাওয়া যায়। ফলে খামারিরা গরু বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। তাতে বাজারে সরবরাহ কমেছে। এ সংকটে গরুর দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে মাংসের দামেও।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :