ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা ফেরত না দেওয়া এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। ব্যাংক ঋণ ফেরত না দেওয়ার কৌশলের সঙ্গে অনেক পরামর্শক জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাস শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ৫৪০টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে আছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৭০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গ, এর আগে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা উপস্থাপন করেন। এসব খেলাপিদের কাছে ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
এদিকে ৬ মাস আগে ডিসেম্বর শেষে অর্থঋণ আদালতে ৭২ হাজার ১৮৯টি বিচারাধীন মামলার বিপরীতে আটকে ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। এক বছরে অর্থঋণ আদালতে ৩ হাজার ১৭১ মামলা বেড়েছে। এসব মামলার বিপরীতে নতুন করে ব্যাংক খাতের ২৪ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা আটকে গেছে।
অর্থঋণ আদালতে বিচারাধীন মামলার দীর্ঘসূত্রতায় আটকে আছে পৌনে দুই লাখ কোটি টাকা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর এসব আদালতে মামলার নিষ্পত্তি হলেও খেলাপি ঋণ আদায় কম হচ্ছে। এসব ঋণ নিয়ে ভবিষ্যতে বড় সংকটে পড়বে পুরো ব্যাংক খাত।
সাধারণত যেসব খেলাপিঋণ আদায়ের সম্ভাবনা কমে যায়। তখন ব্যাংকগুলো অর্থঋণ আদালতে খেলাপি গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করে। এসব মামলায় কিছু টাকা আদায় হয়। মামলা করার পর পর অনেক গ্রাহক ঋণদাতা ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতায় বসে। অনেকের জেলে যেতে হয়। আবার প্রভাবশালী গ্রাহক আইনের ফাঁক-ফোকরে অপকৌশলের সুযোগ নেয়।
একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :