করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চলতি অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আজ নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু। কিন্তু বাস্তবায়নের প্রথম দিনেই ব্যয় স্থগিত করা হয় ১ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।
এটি করা হয়েছে ভ্রমণ খাত থেকে। একই সঙ্গে নির্র্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী দিনগুলোতে সরকারি চাকরিজীবীদের সব ধরনের রুটিন ভ্রমণ পরিহার করতে। এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে বুধবার জাতীয় সংসদে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা ব্যয়ের বাজেট পাশ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এ তথ্য।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের পরিকল্পনার অংশ হিসাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার যে কঠোর লকডাউন দিয়েছে সেটি অর্থবছরের প্রথম দিনই।
নতুন অর্থবছরের যাত্রাতে অর্থনীতির অঙ্গনে স্থবিরতা নেমে আসছে। সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ আছে। ফলে চলতি অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আহরণের খুবই কঠিন হবে। আর আয় না করতে পারলে ব্যয় করতে পারবে না। যে কারণে বছরের শুরুতে ব্যয় কমানোর পক্ষে হাঁটছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সদ্য বিদায়ী অর্থবছরেও ভ্রমণসহ কয়েকটি খাতে ব্যয় স্থগিত করায় সরকারের প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। সাশ্রয়কৃত অর্থ গুরুত্বপূর্ণ অন্য খাতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাজেট) সিরাজুর নুর চৌধুরী জানান, বিদায়ী অর্থবছরে ভ্রমণ খাত থেকে ৫০ শতাংশ, সরকারি গাড়ি কেনাকাটা পুরোটা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ১৫ শতাংশ ব্যয় স্থগিত করা হয়েছিল। এসব সিদ্ধান্তের কারণে যে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে সেটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যয় করা হয়েছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে অধিক ব্যয় মোকাবিলা করতে গিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
একুশে সংবাদ / আল-আমিন
আপনার মতামত লিখুন :