AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আল-মুসলিম গ্রুপের পক্ষে বিজিএমইএ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৭:৩১ পিএম, ১ মার্চ, ২০২১
আল-মুসলিম গ্রুপের পক্ষে বিজিএমইএ

দুদকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আল-মুসলিম গ্রুপসহ ৬৩টি রপ্তানী মূখী তৈরী পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ'র মতামত,

রপ্তানী মূখী তৈরী পোশাক কারখানা কতৃক বিদেশে অর্থপাচার বিষয়ক অভিযোগ সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের উপর বিজিএমইএ'র মতামত ও স্পষ্টীকরন।

সম্প্রতি দেশের শীর্ষ স্থানীয় কিছু পএিকা ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে তৈরী পোশাক রপ্তানীকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যেখানে অভিযোগের সত্যতা, সংবাদের বস্তু নিষ্ঠতা ও তা কতটা হালনাগাদ সে বিষয়ে প্রশ্ন ও স্পষ্টীকরনের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। এ বিষয়ে বিজিএমইএ'র ২০২১ এর ০২ ফেব্রুয়ারির পর্যালোচনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন ঃ

১ম- প্রকাশিত প্রতিবেদনে ৬৩ টি রপ্তানীমূখী তৈরি পোশাক কারখানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কতৃক দুর্নীতি তদন্ত কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট শুধুমাএ আল-মুসলিম গ্রুপের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে প্রতিষ্ঠানটি ১৭৫ কোটি টাকা পাচার করেছে। সংবাদ প্রতিবেদনে বিষয়টি তদন্তাধীন উল্লেখ করা হলেও তদন্ত শেষ হওয়ার আগে এ রকম স্পর্শ কাতর বিষয়ে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়টি সাংবাদিকতার শিষ্টাচার লঙ্ঘন বলে মনে করেন বিজিএমইএ। সৃষ্ট বিভ্রান্তির ফলে প্রতিষ্ঠানের শুনাম ক্ষুন্ন হওয়া এবং ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয় গুলো সংবাদ মাধ্যমের গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। 

২য়- বিগত ২৪শে ডিসেম্বর ২০২০ইং তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মানিত মহাপরিচালকের সাক্ষরিত একটি পএে আল-মুসলিম গ্রুপের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রমানিত না হওয়ায় কমিশন তা পরিসমাপ্ত করেছে বলে অবহিত করেছেন।অতএব ডিসেম্বর মাসে যেই অভিযোগটি পরসমাপ্তি ঘটেছে, সেই অভিযোগে এরুপ সংবাদ পরিবেশন গণমাধ্যমগুলোর অজ্ঞতা বলে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

৩য়- শীর্ষ স্থানীয় একটি ইংরেজি দৈনিক প্রকাশিত ওয়াশিংটন ভিওিক Global Financial Integrity (GFI) এর ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে প্রকাশিত " Trade Related Illicit Financial Flows from 135 Development Countries : 2008-2017" প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। অথচ উক্ত প্রতিবেদনে আল-মুসলিম গ্রুপ,পোশাক খাত কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নাম বা তথ্য প্রকাশ করা হয় নি।এরকম একটি প্রতিবেদনকে সুনির্দিষ্ট একটি খাত বা প্রতিষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে এনে জনেমনে একটি নেতিবাচক ধারনা বদ্ধমূল করার প্রচেষ্টায় উদ্দেশ্য কি হতে পারে তা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে থেকে যায়।

৪র্থ - প্রকাশিত সংবাদের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কতৃক ২৯ বন্ডেড প্রতিষ্ঠানের সম্ভব্য কর ফাঁকির বিষয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।প্রতিবেদনে এটিও উল্লেখ করা হয়েছে যে,জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংশ্লিষ্ট নথি ও ডকুমেন্ট যাচাই বাছাই করে বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের কোন তথ্য পায় নি।তাহলে এই সংবাদ প্রতিবেদনে বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের বিষয়টি কোন প্রাসঙ্গিকতায় টেনে আনা হল এবং বিভিন্ন সময়ে মিমাংসিত অপরাপর বিষয়ে অবতারণা কেন,এ বিষয় গুলো বোধগম্য নয়।

৫ম - সংবাদ পরিবেশনের পূর্বে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমান সাংবাদিকতার মূল্যবোধের মৌলিক একটি অংশ অথচ আনীত অভিযোগের বিষয়টিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা উক্ত পোশাক প্রতিষ্ঠানটির লিয়েন ব্যাংক সমূহের কাছে আমদানী- রপ্তানি কার্যক্রম,আর্থিক লেনদেনের তথ্য, রপ্তানিমূল্য অপ্রতাবাসিত আছে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে সত্যতা যাচাই করার উদ্যোগ নেয়া যেত(এবং এখনো করা যায়),যা না করেই একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপবাদ ও অপপ্রচার করা হয়েছে। এর ফলে শুধু উক্ত প্রতিষ্ঠানই ক্ষতি গ্রস্ত হয়নি বরং এর ফলে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক- কর্মচারীরাও ক্ষতি গ্রস্ত হওয়ার আশংঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা ও শ্রমিক বান্ধব প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য আল-মুসলিম গ্রুপের অন্তগর্ত প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৮০০০ হাজার শ্রমিক - কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিয়োজিত আছে। প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে বিগত ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে স্বর্ণ,২০১৫ - ২০১৬ অর্থ বছরে স্বর্ণ,এবং ২০১৬ - ২০১৭ অর্থ বছরে সিলভার পদক পেয়েছে।

৬ষ্ঠ - আল-মুসলিম গ্রুপ শুধু মাএ সুনামের সাথে বিগত তিন বছর যাবত তার ব্যবসা পরিচালনা করছে তাই নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যাতিক্রমী সামাজিক উদ্যোগ ও পদক্ষেপের কারনেও বিভিন্ন সময় প্রশংসিত হয়েছে। উল্লেখ যে রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় চাপা পরা আহত ও নিহতদের উদ্ধার কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানটির ২৬০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী স্বেচ্ছা সেবক হিসেবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, যা প্রসংশিত হয়।শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির সময় শ্রমিকদের স্বাস্থগত বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আইসোলেশন সেন্টর এবং ১২০ শয্যা বিশিষ্ট একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করেছে। এ সকল উদ্যোগ নিশ্চয়ই প্রশংসা ও সম্মানের দাবী রাখে।

৭ম - শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ মহামারির ফলে শিল্পে যে ক্ষতি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে টিকে থাকার সংগ্রামে যখন আমাদের প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান অবিরত লড়াই করে যাচ্ছে সেই সময়টিতে কিছু গণমাধ্যমে হালনাগাদ করা হয় নি এমন সংবাদ শিল্প অর্থনীতি তথা জাতির জন্য মঙ্গল হতে পারে না বলে অবহিত করেন বিজিএমইএ। 

বিজিএমইএ এর প্রেস বিজ্ঞপ্তির পরে ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ এক সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করে আল-মুসলিম গ্রুপ।এখানে বলা হয়,

বাংলাদেশ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত "গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশ থেকে বছরে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশ পাচার" প্রকাশিত সংবাদে এ.কে.এম নীট ওয়্যার লিঃ কতৃক ২০১৫ -২০১৬ সালে ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশ পাচার প্রসঙ্গে, জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন করে আল-মুসলিম গ্রুপ।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আল-মুসলিম গ্রুপের ব্যস্থাপনা পরিচালক মোঃ আবদুল্লাহ,আল-মুসলিম গ্রুপের পরিচালক এস. এম. আমজাদ হোসাইন,আল-মুসলিম গ্রুপ,সাভারের নির্বাহী পরিচালক মোঃ কাউছার মিয়া,আল-মুসলিম গ্রুপ,সাভারের পরিচালক মোঃ মনির উদ্দিন পাটোয়ারী,জেনারেল ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ আহমেদ সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। এ সময় লিখিত বক্তব্যে আবদুল্লাহ বলেন, ভুল তথ্যের ফলে এই প্রতিষ্ঠানটিতে ১৮০০০ শ্রমিক কর্মচারী ও কর্মকর্তার চাকুরী এখন হুমকির মুখে।এই প্রতিষ্ঠানটি বিগত কয়েক বছর ধরে রপ্তানিতে বাংলাদেশে শীর্ষস্থান অর্জন এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আহরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

সাংবাদিকদের  প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ১৭৫ কোটি টাকা বিদেশ পাচারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবী করেন।


একুশে সংবাদ/ র.ই /এস 

Link copied!