ঈদে আনন্দ আয়োজনে ফূর্তির টাকা জোগাড় করতে আরেক বন্ধুর অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের টার্গেট করা হয়। ঘুরতে গিয়ে বন্ধুর গলা কেটে পালিয়ে যায় অটোরিকশাটি নিয়ে তারা। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এমন ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংস্থাটির দাবি, গ্রেফতারকৃতরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক শাওন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনা ঘটে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের স্বপ্নধারা মডেল টাউনে। ১২ জুন রাতে ৯৯৯ নাইনে ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় একজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসক জানান, ওই কিশোর তখনও বেঁচে আছে। তবে তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ভুক্তভোগী শাওন একজন অটোচালক। তার অটোটি ছিনিয়ে নিতে গিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে জবাই করে মৃত ভেবে পালিয়ে গেছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ একে একে চারজনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, তারা সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, তাদের লিডার শাকিল ওরফে হ্যাচকা শাকিল। ভুক্তভোগী শাওন তাদেরই বন্ধু। ঈদের সময় আনন্দ ফূর্তির জন্য তাদের দরকার ছিল টাকা। চার বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করে একটি অটোরিকশা ছিনতাইয়ের। টার্গেট করা হয় শাওনের অটোরিকশাটি। রাতে শাওনের অটোরিকশাটি ভাড়া করে তারা ঘুরতে যায় স্বপ্নধারা মডেল টাউনে। নির্জন এলাকায় নিয়ে চার জন মিলে শাওনকে জবাই করে। মারা গেছে ভেবে তার দেহ ফেলে পালিয়ে যায় অটো নিয়ে।
ঢাকা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে ভুক্তভোগীকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে ৪ জনের নাম আমরা জানতে পারি। এরপর ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার দায় স্বীকার করেছে।
তিনি আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য তারা। পূর্ব শত্রুতা ছিল শাওনের সঙ্গে পাশাপাশি অটো ছিনতাই, মানে শাকিল ওরফে হ্যাচকা শাকিলের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমার ধারনা আলমগীর হ্যাচকা শাকিলের দলের।
একুশে সংবাদ/স.ট./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :