চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ-মতলব উত্তর) আসনে জাতীয় যুবশক্তি কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ইসরাত জাহান বিন্দু জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন।
ইসরাত জাহান বিন্দু চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মোবারকদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অর্থনীতিতে চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজ থেকে স্নাতক এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী চ্যালেঞ্জিং সময়ে তিনি চাঁদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জেলা ছাত্র প্রতিনিধি হয়ে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোকে নিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তিনি পালন করেছেন, তা তার মানবিক নেতৃত্ব, সংগঠন দক্ষতা এবং দায়িত্বশীলতার উজ্জ্বল উদাহরণ।
বর্তমানে ইসরাত জাহান বিন্দু এনসিপির একমাত্র অঙ্গসংগঠন জাতীয় যুবশক্তি–এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি তেজগাঁও জোনের আওতাধীন ৯ থানার দায়িত্ব এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ৬ জেলার প্রধান দায়িত্ব সফলভাবে পরিচালনা করছেন। দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার স্বীকৃতিস্বরূপ সম্প্রতি তাকে সংগঠনের ‘অর্থ বিষয়ক উপকমিটি’র সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তরুণ নেতৃত্ব, সংগঠনী দক্ষতা এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা তাকে জাতীয় যুব নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
ইসরাত জাহান বিন্দুর মূল লক্ষ্য চাঁদপুর-২ আসনের উন্নয়ন, বৈষম্যহীন সমাজ গঠন এবং তরুণদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তিনি নীতিনিষ্ঠ, সাহসী এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নেতৃত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চান একটি উন্নত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক মতলব গড়ার প্রত্যয়ে।
ইসরাত জাহান বিন্দু দীর্ঘদিন ধরে নারী নেতৃত্ব বিকাশে সক্রিয়ভাবে কাজ করে আসছেন। আন্দোলনের কঠিন সময় থেকে শুরু করে সাংগঠনিক দায়িত্ব, সব জায়গায় তিনি নারীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী, সচেতন ও নেতৃত্বদায়ী ভূমিকা নিতে উৎসাহিত করেছেন। সাইবার হ্যারাসমেন্ট, সামাজিক চাপ এবং রাজনৈতিক ভীতির মধ্যেও তিনি নারী সহযোদ্ধাদের কাউন্সেলিং, আইনি সহায়তা ও নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রদান করেছেন, যা অনেক নারীকে নতুনভাবে এগিয়ে আসতে সহায়তা করেছে।
ইসরাত জাহান বিন্দু বিশ্বাস করেন, একটি সমাজের অগ্রগতি তখনই সম্ভব, যখন নারীরা সমানভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে বসবে। তাঁর লক্ষ্য একটি এমন ভবিষ্যৎ গড়া, যেখানে যোগ্যরা নেতৃত্ব দেবে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের অংশ হতে পারবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

