নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফেসবুক পোস্টে আপত্তিকর চুদলিংক পং কমেন্ট করাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন। গুলিবিদ্ধ শহিদুল ইসলাম ওরফে ডাকাত শহিদুলকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন,তারাব পৌরসভার বরাব ছাপরা মসজিদ এলাকার দুই পক্ষের চারজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রসুলপুর এলাকার মৃত সুজাত আলীর ছেলে সাকিবুল হাসান সম্প্রতি রূপগঞ্জ মানবাধিকার সংস্থার সদস্য নির্বাচিত হন। এ নিয়ে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। সেই পোস্টে একই এলাকার আবু দায়েন প্রধানের ছেলে ও ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের উত্তরের সাবেক সভাপতি মাহিম মিরাজ আপত্তিকর মন্তব্য করেন। বিষয়টি নিয়ে রাতে সাকিবুল ও মাহিমের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় সাকিবুলের বাড়িসহ একাধিক বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে সাবেক যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম ওরফে ডাকাত শহিদুল মাহিমের পক্ষে যোগ দিলে গুলিবিদ্ধ হন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাকিবুল হাসান বলেন, মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আমি ফেসবুকে পোস্ট করি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাহিম মিরাজ আপত্তিকর কমেন্ট করে। প্রতিবাদ করায় তাদের নেতৃত্বে আমার বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। শহিদুল নিজ অস্ত্র থেকে গুলি ছুড়তে গিয়ে নিজেই গুলিবিদ্ধ হয়। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
রূপগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই পক্ষের পাঁচজনের মতো আহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই মামলা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/ সা এ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

