প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। এটি আমাদের শপথ এবং অঙ্গীকার। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও জনতা হত্যা করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকারের গণহত্যার চিত্র।”
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আমরা চাই, তাদের দেশে এক্সট্রাবিশন করা হোক। তাদের আপিল করার অধিকার আছে, তবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে রায় দ্রুত কার্যকর করা হবে। যারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেককে আমরা দেশে ফিরিয়ে আনব। শহীদদের প্রতি আমাদের দায় এই। আমরা ফেল করলে পরবর্তী প্রজন্মই সেই দায়িত্ব নেবে। এখানে কারো ছাড় নেই।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের প্রতিটি মানুষ একতাবদ্ধ হয়ে তাদের ছেলে-মেয়ে যারা হত্যা করেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের হাতে ৭০ দিনের মতো সময় আছে, ইলেকশনের আগে আমরা পারব কি না জানি না, তবে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “আমরা কোনো মাইনাস ফোরের কথা বলিনি। যারা এটি বলছে, তারা স্বৈরাচারের দোসরের মতো। যিনি মাইনাস হয়েছেন, তিনি হত্যাযজ্ঞের কারণে মাইনাস হয়েছেন। খালেদা জিয়া আমাদের জাতীয় নেতা ও আপামর জনসাধারণের নেতা। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি এবং চাই তিনি দেশে ফিরে আসুন। দেশের জন্য তার উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন। আমরা চাই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।”
তিনি আরও জানান, “সরকার একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য কাজ করছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। আমরা চাই দেশে শান্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচন হোক।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আব্দুল কাদের, মাগুরা পৌরসভার প্রশাসক ইমতিয়াজ হোসেন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা বিএম সাজিন ইসরাত ও ক্রীড়া সংগঠক বারিক ননজাম বারকি।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

