চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় দীর্ঘ ৭ বছর ধরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এতে উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বোয়ালখালী উপজেলায় সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে ১টি, বেসরকারি বিদ্যালয় ৩৪টি এবং মাদ্রাসা ১৪টি। গত ৫ মার্চ ২০১৯ সালে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইউনুচ বদলী হলে অজন্তা ইসলাম ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে তিনি বদলী হলে মোঃ ফরিদুল আলম হোসাইন দায়িত্ব নেন। পরবর্তীতে ২৬ এপ্রিল ২০২৩ সালে তিনি বদলী হলে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পান সালমা ইসলাম। তিনি একই সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন এবং সপ্তাহের সোমবার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন।
শুধু শিক্ষা অফিসারের শূন্য পদই নয়, অফিস সহকারি ও কম্পিউটার অপারেটর পদও শূন্য রয়েছে। এই দুই পদে কেউ নিয়োগ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বর্তমানে বোয়ালখালী উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রাঙ্গুনিয়ার কার্যক্রম দেখছেন। তবে একাধিক উপজেলার দায়িত্ব পালন করায় প্রয়োজনীয় নজরদারি ও তদারকি ঠিকমতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।
উপজেলা শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের সাধারণ সম্পাদক এস.এম মনজুর আলম বলেন, “দীর্ঘদিন শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় শিক্ষা কার্যক্রমে শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার মান উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, “দীর্ঘ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য পদে লোকবল দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। প্রত্যাশা করছি তারা শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে।”
একুশে সংবাদ//এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

