জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোসা. ফাতেমা বেগম (৫০)। প্রাণনাশের আশঙ্কা জানিয়ে তিনি রবিবার দুমকি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, মুরাদিয়া সাকিনের জে.এল. নং–২৭, এসএ খতিয়ান নং–৮৫৫, দাগ নং–৩০২৭-এর মোট ৩২ শতক জমির মূল মালিক ছিলেন দুই ভাই বিশ্বেসর দাস ও নলিত দাস। পরে বিএস খতিয়ান নং–৮১৪ ও দাগ নং–৩০১৩ অনুযায়ী ১৭ শতকের মালিক হন বিশ্বেসর দাসের ছেলে রমেশ চন্দ্র দাস এবং দাগ নং–৩০১৯ অনুযায়ী ১৫ শতকের মালিক হিসেবে রেকর্ডভুক্ত হন নলিত দাস। এর মধ্যে রমেশ চন্দ্র দাসের কাছ থেকে ৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন ফাতেমা বেগম, আর নলিত দাসের অংশ ক্রয় করেন ইউনুস সিকদার।
বিএস জরিপে জমির মালিকানা সংক্রান্ত ত্রুটি থাকার অভিযোগ তুলে ইউনুস সিকদার একটি রেকর্ড সংশোধন (রেকর্ডস্যুট) মামলা দায়ের করেন, যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফাতেমা বেগম তার নিজ জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে বিবাদীরা ঘরটি ভেঙে নেওয়ার জন্য তাকে চাপ দেয়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে ইউনুস সিকদারের ছেলে ও তার নেতৃত্বে কয়েকজন ভাড়াটে লোক ফাতেমা বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়।
ফাতেমা বেগম বলেন, “বিবাদীরা এর আগেও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। এখন তারা আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ইউনুস সিকদার বলেন, “গত শুক্রবার সকালে থানার গোলঘরে আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে রোয়েদাদ প্রায় শেষের পথে ছিল। এমন সময় সালিশ বাবুল মাস্টার ও ফতু কিছু না বলেই চলে যান। বাকি সালিশেরা আমাকে রোয়েদাদ করে দিয়েছেন।”
ফাতেমা বেগমের ঘর ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “কে জানি রাতের আঁধারে আমার জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তুলেছিল, আবার কারা জানি সেটা ভেঙে নিয়ে গেছে।”
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

