২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছভুক্ত নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম আগের ধারাবাহিকতায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উপস্থিত বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আগের বছরের মতো এ বছরও একই পদ্ধতিতে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে থাকবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভায় অংশগ্রহণ করেন— বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রতিনিধি।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি অনেকাংশেই কমেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীরা একই পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই কৃষি-গুচ্ছের এই যাত্রা শুরু হয়েছিল, যা আজ সফলতার ধারাবাহিকতায় পরিণত হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও আমরা গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করব। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্ব দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যবৃন্দ এবং টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা সম্মিলিতভাবে এই কার্যক্রমকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কাজ করবেন।”
উপাচার্য আরও জানান, “গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবী শিক্ষার্থীরাও সমানভাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত হচ্ছে এবং উচ্চশিক্ষার মান ও সুযোগে একটি জাতীয় ভারসাম্য সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই এই প্রক্রিয়া আরও আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও শিক্ষার্থীবান্ধব হোক। সকল সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা কামনা করছি। কৃষি শিক্ষার এই সমন্বিত প্রচেষ্টা আমাদের জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করবে।”
সভা শেষে উপাচার্যবৃন্দ একমত হন, ভবিষ্যতে কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি গুচ্ছ পদ্ধতির ভূমিকা আরও জোরদার করা হবে। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, আবেদন প্রক্রিয়া এবং আসনসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হবে।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

