AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন



হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের হাজী কেরামত আলী কলেজের অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, গণঅধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে ক্লোজার বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমেদ আকন, চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বাকের বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু বিশ্বাস, গণঅধিকার পরিষদের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সদস্য সচিব মো. জুয়েল হাওলাদার, জামায়াতে ইসলামের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মীর মোস্তফা কামাল, চরকাজল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মো. আজিজ জোমাদ্দার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চরবিশ্বাস ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা মো. ইমরান নাজির ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. আল আমিন, চরআগস্থি স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হুমায়ুন কবির, চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান দুলালসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বক্তারা অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানের অপসারণ এবং কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি মো. গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একইসাথে তাঁকে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

চরবিশ্বাস ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বাকের বিশ্বাস বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধভাবে আলীম উজ্জামান কলেজে নিয়োগ পেয়েছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন এবং বিভিন্ন অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়িত। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় প্রতিষ্ঠাতা গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। আমরা তাঁর অপসারণ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।”

চরকাজল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, “অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানের নৈতিক অবক্ষয় হয়েছে। তাঁর মতো ব্যক্তি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তিনি সরে না যাওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব জুয়েল হাওলাদার বলেন, “গোলাম মোস্তফা একজন মানবপ্রেমী শিল্পপতি, যিনি নিজ অর্থায়নে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। অথচ আজ তাঁর বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে, যা অমানবিক।”

শিক্ষার্থী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি নিজেকে বাঁচানোর জন্য সভাপতির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা তাঁর অপসারণ চাই।”

একাদশ শ্রেণির ছাত্রী জামিলা বলেন, “সভাপতির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা মামলা প্রত্যাহার ও অধ্যক্ষের অপসারণ চাই।”

কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি মোকসেদুল ইসলাম বলেন, “অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামানকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। ব্যবস্থা না নিলে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি নাঈম আহসান বলেন, “শিল্পপতি গোলাম মোস্তফা মিয়া নিজ অর্থায়নে দুর্গম চরে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আলীম উজ্জামান একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো মাদ্রাসা শিক্ষক ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হতে পারেন না। কিন্তু তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ জানিয়েছি এবং অনিয়মের কারণে তাঁকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আলীম উজ্জামান বলেন, “আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে এবং আদেশও আছে। আমি সভাপতির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করিনি। গোলাম মোস্তফা একজন ভালো মানুষ, তবে কেউ তাঁকে ব্যবহার করছে। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান চাই।”

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মানববন্ধন বা অরাজকতা সৃষ্টি কাম্য নয়। আমরা চাই, সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসুক। কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষের মধ্যে চলমান সমস্যার সমাধানে আমরা আলোচনা করব।”

 

একুশে সংবাদ/এ.জে

সর্বোচ্চ পঠিত - সারাবাংলা

Link copied!