পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজিত ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় মুখরিত ছিল ক্যাম্পাস। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কৃষি অনুষদ কনফারেন্স কক্ষে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষি অনুষদের অধ্যাপক এম. জহুরুল হক। সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মো. আবু ইউসুফ।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবিপ্রবির উপাচার্য, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুজাহাঙ্গীর কবির সরকার এবং কৃষি প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সৃজনী বিদ্যানিকেতনের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় পরিবেশিত হয় হামদ-নাত, কুরআন তেলাওয়াত, ইসলামী আবৃত্তি ও ধর্মীয় বক্তব্য। তরুণ মুখগুলোর কণ্ঠে যখন ধ্বনিত হয় প্রিয় নবীর (সা.) প্রশস্তি, পুরো হলঘর ভরে ওঠে এক অনাবিল আধ্যাত্মিক আবেগে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “হযরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, মানবতার চূড়ান্ত আদর্শ। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক আমাদের জন্য আলোকবর্তিকা। তাঁর নীতি ও আদর্শকে ধারণ করতে পারলেই আমাদের জীবন হবে শান্তি, সৌন্দর্য ও সত্যের পথে পরিচালিত।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র নয়, নৈতিক ও আত্মিক শিক্ষারও আলোকিত মঞ্চ। এ ধরনের ইসলামী সাংস্কৃতিক আয়োজন নবীন প্রজন্মকে মূল্যবোধ ও মানবতার পাঠ শেখাবে।”
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। আনন্দ ও আবেগে মুখরিত পরিবেশে সমাপ্ত হয় সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত এই ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানান, এমন আয়োজন তাদের অন্তরে নবীপ্রেমের নবতর অনুভব জাগিয়ে তুলেছে। তারা চান, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন মননশীল ও অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

