দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, “দুর্নীতির উৎস হচ্ছে কিছু রাজনীতিবিদ। তাদের হাতেই লালিত হয় দুর্নীতিবাজদের অনেকে। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণও ছিল দুর্নীতি।”
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের ডিসি সাহিত্য মঞ্চে দুদকের আয়োজিত গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, “নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক হতে হবে এবং সঠিক ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবারের সদস্য এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা চলছে। এসব মামলার সফল পরিণতি আমরা দেখতে চাই। দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামি দেশীয় সীমান্তে নেই। তারা কীভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে, তা সবারই জানা। এমনও হতে পারে তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়েই পালিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে আছে, তা আমাদের অজানা নয়।”
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে মোট ৯৫টি অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি, ৭টি অভিযোগ খারিজ এবং বাকি অভিযোগগুলো পরবর্তী সময়ে নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ এবং চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

